প্রদীপ চন্দ্র মম রাস্তায় দাঁড়িয়ে সে— বৃষ্টি ঝরছে টুপটাপ, কাঁধে ভিজে যায় ইউনিফর্ম, তবু চোখে টহলের আলো জ্বলে নিত্যরাত। কেউ তাকায় না তার দিকে— যে শহরটাকে রাখে জেগে নিরাপদ,
প্রদীপ চন্দ্র মম বিধাতাকে প্রশ্ন করি— তুমি কি কখনও আমার হবে না? নীরব তিনি— যেন আকাশের মতো বিস্তৃত— অথচ অনুচ্চারিত। হয়তো কানে শোনেন না আমার আর্তি, হয়তো দেখেন না
প্রদীপ চন্দ্র মম তুমি বুঝো না, নাকি বুঝে না বোঝার ভান করো? আমি যেমন তোমার প্রেমের ভাষা পড়তে পারিনি, তেমনি তুমি পড়োনি আমার নীরবতার উচ্চারণ। তবু মনে হয়—বহু জনম
প্রদীপ চন্দ্র মম যিনি শেখান আলোর পথ, আজ তিনিই শাসনের প্রহারে ক্ষত— যে হাতে লিখতেন জ্ঞানের গান, সেই শরীরে আজ রক্তের দাগ। যে কণ্ঠে জ্বলত সত্যের শিখা, আজ নীরব
প্রদীপ চন্দ্র মম যেদিন বুঝেছি—আমি দেহ নই, সেদিন নদীর জলে আমার ছায়া আর আমাকে চিনল না; হাওয়া এসে কানে বলল— “তুই তো বাতাসেরও আগের কিছু।” মাটির ঘ্রাণে বাজে লালনের সুর—
প্রদীপ চন্দ্র মম শহরের বাতাসে আজ গন্ধ— বারুদের নয়, অবিশ্বাসের; যে রাস্তায় পুলিশ দাঁড়াতো ঢাল হয়ে, সেই রাস্তায় এখন ভয়, আর নীরব আহাজারি। বুটের শব্দে যে নিরাপত্তা খুঁজত জনতা,
প্রদীপ চন্দ্র মম আজও লাল-সবুজের আকাশে উড়ে সেই পতাকা— কিন্তু তার ভাঁজে ভাঁজে জমে আছে একাত্তরের নারীর কান্না। রক্তে লেখা হয়েছিল স্বাধীনতা, কিন্তু রক্তের দায় মুছে গেল মুখে হাসি
প্রদীপ চন্দ্র মম ঝড় ওঠে— কিন্তু তা আর শুধু গাছ ভাঙে না, এবার তা ভাঙে শোষকের প্রাসাদ, পাথরের দেয়াল কাঁপে বজ্রের মতো রোষে। নদী শুকিয়ে যায়— তবু তার বুক
প্রদীপ চন্দ্র মম কেউ খোলে না বইয়ের দরজা— তারা হেঁটে চলে শূন্য পথ ধরে, চোখ আছে তবু অন্ধকারে বাঁধা ধুলো আর নিঃশব্দ সময়ের ঘেরাটোপে। আর কেউ— পাতা উল্টালে হঠাৎ
প্রদীপ চন্দ্র মম কাশের সাদা ঢেউ— শরতের বুকে গায় আগমনী গান, ধরার হৃদয় ভরে জাগে দেবী ঊষা, আলোয় দিগন্ত প্রাণ। পাতার ঝিরিঝিরি সুর— শিউলি ঝরে দীপশিখার মতো, নদীর তীরে