
কামরুল হাসান:
দোহাই শব্দটির নানাবিদ অর্থ আছে। এ শব্দটি নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন- কসম দেয়া, কিরা কাটা বা দেয়া, নিষেধ করা, বাধা দেয়া, মানা করা ও জোর তাগিদ দেয়া প্রভৃতি। আর ঘ্যাগ হলো মানব দেহের গলগন্ডের একটি রোগ। এর উপসর্গ সাধারনত: গলায় দেখা যায়। এটি নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মনে করেন- কেউ ঘ্যাগের উপসর্গ বা ঘ্যাগ রোগ নিয়ে ঘ্যাগের ওষুধ বেচতে বের হলো। সে ক্ষেত্রে মানুষ জন তাকে কতটুকু গ্রাহ্য করবে? আর কতটুকুনই বা তার ওষুধের ওপর আস্থা রাখবে? এর বিচার্য বিষয়ের গুরু দায়িত্বটা না হয় প্রিয় পাঠকদের ওপরই রইলো। এতক্ষন তো শুধু শুধুই বাড়তি প্যাঁচাল ছিল মাত্র। অর্থাৎ ভ‚মিকা ছিল মাত্র। এ ক্ষনে আসল কথায় আসা যাক- জীবনের তাগিদে আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন পেশা, কাজ বা বৃত্তির ওপর ভর করে জীবিকা নির্বাহ করি। যদি ওই পেশা, কাজ বা বৃত্তির সাথে আমাদের আচার, আচরন বা ব্যবহার সংগতপূর্ণ হয়, তবে তো ভালই। আর যদি তা না হয় বা কথা ও কাজে ভিন্ন হয়, তাহলে তো হয়েই গেল! হয়েই গেল মানে- সমস্যা দেখা দিল। এ সমস্যা এক সময় মহা সমস্যায় রূপ নেবে। এতে কোনই সন্দেহ নেই। তাই একটি বাংলা প্রবাদের কথা মনে পড়ে গেল-‘যার কাজ তারই সাজে, অন্য লোকের লাঠিত বাজে।’ কিন্তু কোন পেশা, কাজ বা বৃত্তিকে কোন মতেই খাটো করে দেখার উপায় নেই। তবে- সেই পেশা, কাজ বা বৃত্তিকে অবশ্যই মনে প্রাণে ভালোবেসে সু-চারুরূপে করতে হবে বৈ কি! ্এখন আবার আরেকটি প্রবাদের কথা এসে গেল-‘ নাই কাজ তো খই ভাজ।’ বলে রাখা ভালো যে- সমাজে এমন অনেকেই আছেন, যারা কিনা কোন কাজ না থাকায় যাচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছেন। তারা এর মানেটাই বুঝেন না। এমন কি বোঝার নূন্যতম চেষ্টাও করেন না। করার প্রয়োজনও মনে করেন না। তাই বলছি- শুধু শুধুই ঝোকার সেজে লাভ কি? তবে- অন্যের হাসির পাত্র হতে পারবেন মাত্র। নিজের ব্যক্তিত্ব বলতে অবশিষ্ট আর কিছুই রইবে না। সুতরাং, জীবনটা কিন্তু কোন তুচ্ছ বস্তু বা হেলা ফেলার জিনিস নয়। জীবন এক মহামূল্যবান ধন। একে গভীর ভালোবেসেই দাম দিতে হয়। অতএব, আগে জীবনের মানে বুঝুন! আর এর মানে খুঁজুন! দামও দিন। তবেই তো পথ চলা সহজ হবে। (লেখক: কামরুল হাসান #০১৯১৪-৭৩৫৮৪২#সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী, সংগঠক এবং ফিচার ও কলাম লেখক)।