
কামরুল হাসান :
আরশ মাত্র ছয় বছর বয়সের একটি ছোট্ট শিশু। সে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের উচ্চগ্রামের শরিফ আহম্মেদ ও আরিফা আক্তার পলি দম্পত্তির সন্তান। গত ২৭ অক্টোবর তার মা’র কলেজে পরীক্ষা ছিল। জেদ ধরে মায়ের সাথে অটোযোগে জেলা শহরে যাচ্ছিল। ঠিক দুপুরের আগ মূহুর্তে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল-এর মেইন গেইটে পৌছলে তারা মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় রাশেদ নামের এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর অটোচালক জাহাঙ্গীর আলম, শিশু যাত্রী আরশ তার মা আরিফা আক্তার পলি, চান মিয়া, তার স্ত্রী সন্ধ্যা বেগম, ফারজানা আক্তার ছবি ও সুমাইয়া আক্তার সিঁথিসহ ৭ জন গুরুতরভাবে আহত হয়। দয়া বশত: দুই পথ যাত্রী প্রথমেই শিশু আরশকে তুলে তাদের বাইকযোগে দিগপাইত উপ-শহরের দুবাই হসপিটাল বিডি-তে নিয়ে যায়। তার পরপরই স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তার মাকেও ওই হসপিটালে নিয়ে যায়। অন্যদের চিকিৎসার জন্য যে যেভাবে পারছে দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অতীব দু:খের বিষয়-দুবাই হসপিটাল বিডি কর্তৃপক্ষ তাদের নূন্যতম প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়েই হসপিটাল গেইট থেকেই ফেরৎদেয়। অবশ্য দুবাই হসপিটাল বিডি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক জানান, রোগীদের অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না। তাদের বাঁচার সম্ভাবনা নেই। মারাই যাবে। তাই তাদের জামালপুরে নেয়ার জন্য বলেছি। মরা-বাঁচা সব আল্লাহর ইচ্ছা। তবে আহতের মধ্য হতে- জাহাঙ্গীর আলম, শিশু যাত্রী আরশ-এর মা আরিফা আক্তার পলি, চান মিয়া, সুমাইয়া আক্তার সিঁথিসহ ৪ জন মারা যায়। আর অনেক ভাগ্যবান বলেই সন্ধ্যা বেগম ও ফারজানা আক্তার ছবি ও শিশু যাত্রী আরশ এখনো বেচেঁ আছে। অবশেষে দুবাই হসপিটাল বিডি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কথা মিথ্যা হয়ে গেল। অতএব, আরশ- বাঁচিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই! (লেখক: কামরুল হাসান #০১৯১৪-৭৩৫৮৪২# সংবাদ কর্মী, ফিচার ও কলাম লেখক)