
কামরুল হাসান:
১২ ডিসেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ওই দিন বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পিছু হঠিয়ে দেশকে শত্রæ মুক্ত করে। ছিনিয়ে আনে কাঙ্খিত লাল সবুজের স্বাধীন পতাকা। ফলে দেশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে হয় স্বাধীন। আর আমরা বাঙালিরা স্বাধীনতার স্বাদ পাই। এ পথ পরিক্রমাটা মোটেই সহজ ছিলনা। অনেক চরাই-উতরাই পেরিয়ে তবেই আসে বিজয়। সরিষাবাড়ীতে মূলত: ওই বছরের এপ্রিল মাসে বাউসী ব্রীজ ও বাজার এলাকা থেকে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সম্মুখ যুদ্ধ। এরপর আগস্টের দিকে ভাটারার পারপাড়া গ্রামের গোয়াল পাড়া, সেপ্টেম্বরে সাতপোয়া গ্রামের আরামনগর মাদ্রাসা ও পাশর্^বর্তী এলাকা, অক্টোবরে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট গোয়াল বাথান কাশিনাথপুর এবং নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ১২ ডিসেম্বরের সকাল নাগাদ চলে টানা রক্তক্ষয়ী সম্মুখ যুদ্ধ। উভয় পক্ষের মধ্যে চলে এ্যাটাক-পাল্টাএ্যাটাকসহ গেরিলা কায়দায় আক্রমন। কৌশলগত কারনে ঘন ঘন স্থান বদলের ফলে পরিধি বাড়তে থাকে। তাই বারইপটল, ফুলদহের পাড়া, মেদুর, মেইয়্যা, দড়িমেইয়্যা ও বাঘআচড়া গ্রামে হৃদয় বিদারক ঘটনার জন্ম দেয়। অবশেষে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পিছ ুহঠতে তথা আত্ম সমর্পন করতে বাধ্য হয়।
কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২