
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নির্বাচন সবসময়ই একটি নির্ণায়ক অধ্যায়। ক্ষমতার পরিবর্তন, জনগণের মতামতের প্রতিফলন এবং গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, বারবারই এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসেছে যে, মানুষ আর “ভোটের নামে প্রহসন” দেখতে চায় না।
বর্তমান প্রজন্ম—যাদের হাতে আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ—তারা আগের প্রজন্মের মতো নীরব দর্শক নয়। তারা তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় এবং রাজনৈতিক সচেতন। তারা জানে, গণতন্ত্র মানে শুধু সরকারের স্থায়িত্ব নয়, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা। তাই যদি ভালো নির্বাচন না হয়, যদি জনগণের ভোটের অধিকার আবারও কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে এই প্রজন্ম সেটাকে মেনে নেবে না।
আজকের তরুণরা পরিবর্তনের পক্ষে। তারা জানে—দেশের উন্নয়ন কেবল অবকাঠামো বা স্লোগানে নয়, বরং ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং জনগণের অংশগ্রহণে। তারা বুঝে ফেলেছে, ভোটহীন সরকার টিকিয়ে রাখা মানে দেশকে আবারও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া।
একটা সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলের নয়, পুরো জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন। জনগণের বিশ্বাস হারানো মানে সরকারের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া। তাই এখন সময় এসেছে সরকারকে উপলব্ধি করার—গণতন্ত্রে টিকে থাকার একমাত্র পথ হলো বিশ্বস্ত, স্বচ্ছ, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা।
বর্তমান প্রজন্ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তারা কোনো প্রহসনমূলক ভোট মেনে নেবে না। তারা চাইবে—জনগণের রায়ই হোক সরকারের বৈধতার একমাত্র মাপকাঠি। আর যদি সেই রায়কে বিকৃত করার চেষ্টা হয়, তবে গণআন্দোলনের ঝড় উঠবে নতুন রূপে—ডিজিটাল যুগের বিপ্লবী তরুণদের নেতৃত্বে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর। সেই নির্বাচনই নির্ধারণ করবে—সরকার টিকবে, নাকি জনগণের ক্ষোভে ভেসে যাবে ইতিহাসের পাতা থেকে।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা