কামরুল হাসান:
জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের নারিকেলী গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে একই এলাকার সাংবাদিক এম.এ রফিক’র .০৯ শতাংশ জমি জবর দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সাংবাদিক এম.এ রফি নারিকেলী গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে আব্দুস ছাত্তারের নিকট থেকে ২০০৬ সালে নারিকেলী মৌজার খতিয়ান নং-৩২০, জেএল নং-১২৬, দাগ নং-৪, শ্রেণি-কান্দা এর মধ্যে ২৭ শতাংশের কাতে ০৯ শতাংশ জমি ক্রয়ের লক্ষ্যে বাজার মূল্য মোট দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নির্ধারণ করে। সে সুবাদে জমির মূল্য বাবদ বায়না স্বরূপ পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করে। অত:পর জমির পূর্ণ দখলও বুঝে নেয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর যাবৎ উক্ত জমিতে বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে ওই সাংবাদিক পরিবার। কিš‘ জমির মালিক আব্দুস ছাত্তার ওই জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে মূল্য নির্ধারন পূর্বক বায়না স্বরূপ পঞ্চাশ হাজার টাকা গ্রহন করে। অথচ ওই .০৯ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে বরং বিভিন্ন অযুহাতসহ নানা রকম তালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে গ্রাম্য শালিস বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। শালিস বৈঠকে সাক্ষীদের জবান বন্দীর মাধ্যমে প্রমানিত হয় যে, আব্দুস ছাত্তার জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে বায়না স্বরূপ পঞ্চাশ হাজার টাকা গ্রহন করেই সাংবাদিক এম.এ রফিককে ওই জমির পূর্ণ দখল বুঝিয়ে দেয়। পরে বিজ্ঞ শালিসদারগন সাংবাদিক এম.এ রফিককে জমি লিখে দেয়ার জন্য আব্দুস ছাত্তারকে নির্দেশ দেয়। অথচ শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আব্দুস ছাত্তার বাদী হয়ে সাংবাদিক এম.এ রফিকের বিরুদ্ধে উক্ত ঘটনায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং ৮৯৭(১)২০২৪। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আপোস মীমাংসার জন্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে প্রেরণ করে। লিগ্যাল এইড অফিসেও পঞ্চাশ হাজার টাকা বায়না সঠিক বলে মামলার বিবাদী সাংবাদিক রফিকের পক্ষে রায় প্রদান করেন সিনিয়র সহকারী জজ। কিš‘ বাদী আব্দুস ছাত্তার লিগ্যাল এইডের নির্দেশনা না মেনে পুন:রায় মামলা পরিচালনা করেন। কিš‘ বিজ্ঞ আদালত সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এবং সাক্ষীদের বক্তব্যের নিরিখে মামলাটি খারিজ করে দেন। ওই মামলা খারিজ হওয়ার পর হতেই একটি প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে উক্ত বায়নাকৃত জমিটুকু অন্যত্র বিক্রির জন্য পায়তারা করে আসছে আব্দুস ছাত্তার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক এম.এ রফিক বলেন, আব্দুস ছাত্তার আমার থেকে ১৮ বছর পূর্বে জমির বায়না বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয়। সে সময়ই জমির দখল বুঝিয়ে দিলেও সে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে আমাকে এখনও জমি রেজিষ্ট্রি করে দি”েছ না। সে প্রতারণার মাধ্যমে অন্যের নিকট জমি বিক্রি করার অপচেষ্টা করছে।
কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২