কামরুল হাসান:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১, মধুপুর-ধনবাড়ী আসনের এমপি প্রার্থী এডভোকেট মোহাম্মদ আলী’র পক্ষে ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্যে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেল ৩টায় যদুনাথপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ¯’ায়ী কমিটির সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ আলী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, স্বপন ভাই একজন সিনিয়র নেতা। কিন্তু তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আমার (মোহাম্মদ আলীর) বিষয়ে বলেন-আমি (মোহাম্মদ আলী) নাকি আওয়ামীলীগের দোসর। কিন্ত এর কোন প্রমাণ তিনি দেখাতে পারবেন না। অথচ তিনি ভ‚য়াপুরের নিকরাইল কলেজের সভাপতি ছোট মনিরকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপ¯ি’ত থেকে তাকে নিজ হাতে ক্রেস্ট দিয়েছেন। এমন প্রমাণ আছে। কই, ওই বড় ভাই সে কথাতো কোন বক্তব্যে বলেন না? আসলে আওয়ামীলীগের দোসর কে ? তা ভোটাররাই ঠিক করবেন। আর তারা সঠিক সময়ে তাদের সঠিক সিদ্ধান্তও নেবেন। তিনি আরও বলেন-যারা আজ কমিটির বড়াই দেখান। তারা কিভাবে, কাদের নিয়ে ও কার উপস্থিতিতে কমিটি করেছেন? আর তাদের কমিটিতে থাকা নেতারা যখন বিভিন্ন সময় বক্তব্যে বলেন, তাদের এমপি আব্দুর রাজ্জাক। তখন অতি সহজেই বুঝা যায়, ওই সব নেতারা কারা ও তাদের উদ্দেশ্য কি? এছাড়াও তিনি বলেন-আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদেরকে ‘ত্যাগ, জনপ্রিয়তা ও গ্রীণ ইমেজ’ এই বিশেষ তিনটি যোগ্যতা বা বিচার্য বিষয়ের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে। যে সব প্রার্থী এ তিন বিষয়ে যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হবে। তারাই কেবল মনোনয়ন পাবে। তিনি ইতোমধ্যেই ওই তিনটি বিশেষ যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। তাই তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য উল্লেখিত আসনের একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন, ইনশা আল্লাহ। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে উপস্থিত সকলের নিকট পূর্ণ সমর্থন, সহযোগিতা ও দোয়া প্রত্যাশা করেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, শিল্পপতি আনোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ, জয়নাল আবেদীন বাবুল, আব্দুল লতিফ পান্না, প্রফেসর রেজাউল হক, আইন উদ্দিন, আশরাফ হোসেন বিএসসি ও পিয়ারা বেগম প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন-ঘোড়া মাকার নির্বাচন করা নেতারাই হালের বড় নেতা সেজেছেন। তারা আজকাল চাঁবাজিতে এগিয়ে আছেন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তারা বিভিন্ন ¯’ানে শালিস-দরবার করছেন। বক্তারা আরো বলেন-এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবার কথাছিল যদুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। একই দিন একই মাঠে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আ. আজিজ মাস্টার ও সাধারন সম্পাদক দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে আরেকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সে কারনে একই স্থানে দু’টি অনুষ্ঠান হলে বিশৃঙ্খলা তথা আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। এ মর্মে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেন তারা। তাই প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ওই দিন উক্ত মাঠে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। পরে নিকট¯’ বারইপাড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে করে স্বপন ভাই কি লাভবান হলেন? সমাবেশের পরিবেশে আরও বেশি লোকসমাগম ঘটেছে। তারা একে অপরের দিকে কাদা ছুড়তে বারণ করেছেন। সেই সাথে উপরের বড় নেতাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন। পরে সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন-উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল বাতেন। সমাবেশ সাফল্যে সহযোগিতা করেন- সাবেক উপজেলা কৃষকদল নেতা আব্দুল হাই ও সাবেক যদুনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ছানোয়ার হোসেনসহ অনেকেই।
কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২