রিমন চৌধুরী, নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ওয়াহিদুল হক আনন্দলোক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্কুলটির তালা ভেঙে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, নগদ অর্থসহ আনুমানিক লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান।
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ রায় ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সংবাদকর্মীদের তথ্য না জানানোর কথা বলে ফোন কেটে দেন। ফলে চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মাগরিবের নামাজের পর স্কুলের ভেতর শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে দেখা যায়, স্কুলটির পাশের বাড়ির শফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হানকে স্কুলের ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়।
ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান বলেন, “চুরির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। স্থানীয়দের কাছে রায়হান নামের এক ছেলের কথা শুনেছি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল।
অভিযুক্ত রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। তবে তার স্বজনেরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আরিফুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।