নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে প্রতিটি নির্বাচনই এক ধরনের পরীক্ষা। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণের একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ।
প্রথমত, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা এখন সবচেয়ে বড় কাজ। দীর্ঘদিন ধরে যে প্রশ্নগুলো জনগণের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে—“ভোট দিতে পারবো তো?”, “ভোটের ফলাফল কি সত্যিই জনগণের হাতে নির্ধারিত হবে?”, এই প্রশ্নগুলোর সৎ ও বিশ্বাসযোগ্য উত্তর আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দিতে না পারলে গণতন্ত্রের ভিত্তি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়বে।
দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য। একদিকে দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে সহিংসতা, অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অন্যদিকে যদি দলগুলো সংকীর্ণ স্বার্থে অটল থাকে, তবে জনগণের প্রত্যাশা আবারও ব্যর্থতায় গড়াবে।
তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা নিয়ে জনগণের আস্থা তৈরি করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচন কমিশনকে এমন প্রমাণ রাখতে হবে যাতে ভোটাররা নিশ্চিত হতে পারে—তাদের ভোটই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে, কোনো গোপন শক্তি নয়।
সবশেষে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কেবল রাজনীতিবিদদের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য একটি নতুন সূচনা হতে পারে। কিন্তু যদি আগামী নির্বাচন ব্যর্থ হয়, তবে গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতা—সবকিছুই গভীর সংকটে পড়ে যাবে।
অতএব, আগামী নির্বাচন শুধু একটি তারিখের আয়োজন নয়; এটি বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নির্ধারণের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এখন সময় এসেছে রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্রযন্ত্র ও জনগণ—সবার সম্মিলিত দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জকে সুযোগে রূপান্তরিত করার।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর