কামরুল হাসান:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কৃষক সমাজ ক্রমশ: পাটের আবাদে ঝুঁকছে। আগের চেয়ে দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন পাটের আবাদের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে তাদের। তাই, এ জনপদে পাটের হারানো ঐতিহ্য তথা সোনালী আঁশের সোনালী দিনের হাতছানির পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা জিন্দানূর ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বিভিন্ন জাতের পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৩,৫১০ হেক্টর জমি। যেমন- দেশী জাত ২৬০ হেক্টর, তুষা জাত ৩,১৫০ হেক্টর ও কেনাফ জাত ১০০ হেক্টর জমি। অপর দিকে এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে-৩,২৪৫ হেক্টর জমি। যেমন-দেশী জাত ৩০০ হেক্টর, তুষা জাত ২,৮২৫ হেক্টর ও কেনাফ জাত ১২০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তুষা জাতের পাটের আবাদের অর্জন কম হওয়ার বিষয়ে ওই কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, কৃষকেরা সাধারনত বোরো ধান কাটার পর তুষা জাতের পাটের বীজ বুনে। কিন্তু সে সময় বৃষ্টি থাকার কারনে এ জাতের পাটের আবাদ কমে গেছে।
কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২