প্রদীপ চন্দ্র মম
আমি দেখি— এ কোন অন্ধ প্রভাত!
সূর্য ওঠে ক্লান্ত মুখে, নেই হাসির আভাস,
দু’মুঠো ভাত চায় ক্ষুধার্ত শিশু,
মায়ের চোখে জমে কেবল দুঃখের নিঃশ্বাস।
অর্থনীতি নামের লুটের উৎসব,
চাটুকারের পেটে জমে সোনা-রাশি,
কৃষকের হাড়ে বাজে দুর্ভিক্ষের ঢাক,
আলো না আসে— নামে বিষাদ-চাঁদের হাসি।
সংবিধান আজ ছেঁড়া কাগজ শুধু,
শাসকের হাতে তার মলিন মানচিত্র,
ন্যায়বিচার? হায়! সে তো কল্পলোক—
জোর যার, মুখ তারেই সত্যের নিদর্শন-চিত্র।
সাংবাদিকতা আজ গলাকাটা শব্দ,
ধর্ষিতার আর্তি পেরোয় না প্রাচীর,
বিচারের নামে মঞ্চে নাটকের খেলা,
শাসকের পায়ের নিচে সত্য পড়ে নিঃশীর্ষ।
ধর্মের নামে বিভেদ, ভোটে ছলনার রীতি,
প্রতিশ্রুতি গলে জল, ভাঙে জাতির গীতি।
নেতা বদলায়, বদলায় না স্বভাব,
এই মাটিতে রক্তে লেখা, নব্য নীতির গীতি।
আমি হাঁকি— নজরুলেরই তীব্র চিৎকারে,
“বিদ্রোহী আমি! ধ্বংসে জাগি দীপ্ত প্রহরে!
ভেদি অন্ধকার জাগাবো নব আলো,
সত্যের খড়গে ভাঙি অন্যায়ের জালে।”
আজ চাই না ক্ষমার মধুর গান,
আজ প্রয়োজন বজ্ররবে প্রতিবাদী তাণ্ডব।
যে কবিতা জাগায় না নিপীড়িত প্রাণ,
সে কবিতা হোক আজ বিদ্রোহের দান।
০৪/০৮/২০২৫ খ্রিঃ।