নিজস্ব প্রতিবেদক
পৃথিবী চিরস্থায়ী নয়—এই সত্যটি আমরা জানি, বুঝি, তবুও যেন ভুলে থাকি। আমরা এমনভাবে ছুটছি, যেনো এ জীবনটাই শেষ সত্য, যেনো এই পৃথিবী ছেড়ে আমাদের কোনোদিনই চলে যেতে হবে না। অথচ প্রতিদিন কেউ না কেউ চলে যাচ্ছে, আমরা কেবল দাঁড়িয়ে দেখি, একটু সময়ের জন্য শোকাহত হই, তারপর আবার ছুটে পড়ি চিরস্থায়ী ভোগের এক ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধে।
প্রশ্ন হলো, এই পৃথিবীতে থেকে আমরা কী রেখে যাচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য?
শুধু ধুলোমাখা ভবন, শ্বাসরুদ্ধ করা পরিবেশ, ভাঙা নৈতিকতা আর স্বার্থপর রাজনীতি?
নাকি রেখে যাচ্ছি কিছু আদর্শ, কিছু মূল্যবোধ, কিছু দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত—যা হবে ভবিষ্যতের পথ চলার পাথেয়?
একজন মানুষের আয়ু সীমিত, কিন্তু তার কর্মের প্রভাব হতে পারে সীমাহীন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আর জীবিত নন, কিন্তু তার রেখে যাওয়া নেতৃত্ব, আত্মত্যাগ, আদর্শ আজও কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস শুধু একটি গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি করেননি, তিনি একটি দারিদ্র্য বিমোচনের দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
আমরা সবাই হয়তো এমন বড় মাপের কিছু করতে পারবো না, কিন্তু ছোট ছোট ভালো কাজ করে যেতে পারি।
সৎভাবে ব্যবসা করা, সন্তানকে মানবিক মানুষ করে গড়ে তোলা, প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানো, একটি গাছ লাগানো—এগুলোও ভবিষ্যতের জন্য পাথেয়।
আজ আমরা যেভাবে বাঁচছি, তা যেনো আমাদের সন্তানদের কষ্টের কারণ না হয়।
আজ আমরা যেটুকু রেখে যাচ্ছি, তা যেনো তাদের কাছে বোঝা নয়, বরং আশীর্বাদ হয়।
এই পৃথিবী আমাদের চিরস্থায়ী নিবাস নয়—
তাই এমন কিছু করে যাই,
যাতে আমরা না থাকলেও আমাদের কাজ কথা বলে যায়।
শেষ কথায় বলি:
সময় ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আদর্শ হতে পারে চিরস্থায়ী।
তাই আজই শুরু হোক পরিবর্তন—নিজেকে বদলে, সমাজকে আলোকিত করে।