নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই বেচে আছে—হ্যাঁ, রক্তাক্ত সেই জুলাই আজও জীবন্ত বাংলার নির্যাতিত মানুষের হৃদয়ের গহীনে। এই মাস শুধু একটি সময় নয়, একটি প্রতীক। এই মাস শুধু রক্ত আর অশ্রু নয়, এটি প্রতিরোধের, প্রতিবাদের এবং সম্ভাবনার এক চিরন্তন ইতিহাস। যারা এই মাসে নিজের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, তারা চেয়েছিল এক অন্য রকম বাংলাদেশ—নির্যাতনমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মানবিক এক রাষ্ট্রব্যবস্থা।
আমরা যারা আজ বেঁচে আছি, যারা আজ কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি, আমাদের দায়িত্ব সেই জুলাইকে শুধু স্মরণ করা নয়, ধারণ করা। পিছনে ফিরে তাকান, দেখবেন কত সাহস, কত ত্যাগ, কত স্বপ্ন জমে আছে সেই রক্তাক্ত দিনগুলোতে। তারা আমাদের দেখিয়ে গেছে—ক্ষমতার গুলির সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো যায়, শুধু বুকের রক্ত দিয়েও ইতিহাস লেখা যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি সেই জুলাইয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে রয়েছি? নাকি আমরা ভুলে যাচ্ছি, কারা কোন স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছিল? আজ যখন অন্যায়, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচার, দখলদারিত্ব আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রে ঘুণ ধরাচ্ছে, তখন সেই রক্তাক্ত জুলাই আবার আমাদের ডাকছে। বলছে—“উঠো, জাগো, প্রতিবাদ করো। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।”
জুলাই মানে শুধুই কান্না নয়, এটি আশার প্রতিচ্ছবি। এটি বলে—যদি হাজারো বাঁধা আসে, তবুও প্রতিবাদের ভাষা হারায় না। যারা রক্ত দিয়েছে, তারা আমাদের শুধু চোখে জল আনার জন্য নয়, আমাদের জাগ্রত করার জন্য, আমাদের সাহসী করে তোলার জন্য ইতিহাসে নাম লিখে গেছে।
তাই আসুন, আজ আমরা শপথ করি—রক্তাক্ত জুলাইকে শুধু স্মরণ নয়, আমরা ধারণ করব। আমরা বাস্তবায়ন করব সেই স্বপ্ন—যেখানে রাষ্ট্র হবে মানুষের, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, আর সত্য ও ন্যায়ের পথে হাঁটা যাবে নির্ভয়ে।
জুলাই হারায়নি, হারাবে না।
জুলাই বেঁচে আছে, থাকবে।
বাংলার নির্যাতিত মানুষের হৃদয়ে।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর