নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের মানুষ চায় শান্তি, চায় নিরাপত্তা, চায় ন্যায্য অধিকার। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে—দেশ ভালো নেই। সার্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক দুর্নীতি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আর সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের কষ্ট আমাদের রাষ্ট্রটিকে এক কঠিন বাস্তবতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
বেকার যুবকের চোখে স্বপ্ন নেই, কৃষকের ফসলে ন্যায্য দাম নেই, শিক্ষার্থীর শিক্ষায় গতি নেই, চিকিৎসায় মানবতা নেই। সর্বত্রই একটা চাপা হতাশা, ক্ষোভ আর অনিশ্চয়তা। অথচ এই দেশ একসময় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল—সেই দেশের মানুষ আজ ঘুমাতে পারে না নিশ্চিন্তে, ভাবতে পারে না আগামীকাল নিয়ে।
আর যাদের দায়িত্ব ছিল দেশকে ভালো রাখার, তারাই আজ নিজেদের স্বার্থের বলয়ে আবদ্ধ। যারা কথা বলে জনগণের পক্ষে, তাদের মুখ বন্ধ করতে নানা কৌশল চালু করা হয়। আন্দোলন মানেই যেন ষড়যন্ত্র, সমালোচনা মানেই যেন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড!
ভালো রাখার পথ আছে, কিন্তু সেই পথে হাঁটার মানসিকতা নেই ক্ষমতাসীনদের। সত্য বললে তুমি “অসুবিধাজনক”, প্রতিবাদ করলেই তুমি “উসকানিদাতা”। ফলে দেশ ভালো রাখতে যে নৈতিক শক্তি দরকার, সেটাই আজ অবলুপ্ত।
দেশ ভালো রাখতে হলে দরকার জনগণের পাশে দাঁড়ানো নেতৃত্ব, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি, আর দরকার নতুন প্রজন্মের সাহসী অংশগ্রহণ। না হলে, “দেশ ভালো নেই”—এই কথাটি শুধু সত্যই থেকে যাবে না, আরও ভয়ংকর রূপ নেবে।
আমরা এখনো চাই, সত্যের পথে একটি সাহসী রাষ্ট্র গড়ে উঠুক।
আমরা এখনো আশা করি, একদিন এই বাধা পেরিয়ে দেশটা সত্যিই ভালো হবে।
কিন্তু তার আগে দরকার—সত্যকে সত্য বলা, আর অন্যায়কে অন্যায় মনে করা।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক গনঅধিকার পরিষদ সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা জামালপুর
✍️ একজন সচেতন নাগরিক