1. live@dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒
  2. info@www.dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 :
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রিতুর মেয়ে স্মৃতি পঞ্চাশ হাজার মায়ের লাশের দাম নতুন শুরু না ঘুনেধরা পুরাতন? সিদ্ধান্ত আপনার আমারই নিতে হবে নরসিংদীর পলাশ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরকে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার স্কুলের গাছ চুরির সময় ছাত্রদল নেতা আটক অশুভ শক্তি বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করছে আপনারা সচেতন থাকবেন- ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল।  ১৭ বছর পর সরিষাবাড়ী পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সভাপতি শাহীন তালুকদার,সাধারন সম্পাদক পিন্টু নির্বাচিত পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য মুফতি মাওলানা শামীম আহমেদ সাংবাদিক,ইসলামিক কলামিস্ট। সরিষাবাড়ী পৌর বিএনপি’র সম্মেলন \ সাধারণ সম্পাদক পদে জনমুখে সেলিম রেজার নাম শিক্ষার মানউন্নয়ন সহ ঝরে পড়া রোধ কল্পে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঐতিহ্য বাহী পিংনা কেন্দ্রীয় বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা

ডোমারে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বাল্যবিবাহ, ঝুঁকিতে কিশোরীদের ভবিষ্যৎ

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

 

রিমন চৌধুরী,নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় আবারও বাল্যবিবাহের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। নানা সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে প্রায় প্রতিদিনেই কোনো না কোনো কিশোরী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। এতে পড়ালেখা ও স্বাভাবিক জীবন থেকে ছিটকে পড়ছে অসংখ্য কিশোরী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক মাসের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ৬টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে দুই থেকে তিনটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলেও বেশিরভাগই পারিবারিক চাপে বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ কিশোরীর বয়স ১২থেকে ১৫বছরের মধ্যে।

ডোমার বালিকা বিদ্যানিকেতনের সহকারী শিক্ষিকা আফসানা ইয়াসমিন আশা বলেন ,প্রতিদিন স্কুলে আসার চেয়ে বিয়ে করাটা যেন এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষিত ও সচেতন হবে কীভাবে। আমরা স্কুলে যখন একজন শিক্ষার্থীকে দেখি দুইদিন বা ১০ দিন পর্যন্ত আসে না তখন আমরা সেই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে ভিজিট করি কিন্তু বাসায় গিয়ে দেখি সে শিক্ষার্থীর বিয়ে দিয়েছে।
আবার স্কুলে এমনও শিক্ষার্থী রয়েছে ক্লাস এইটে যখন তখন তার বিয়ে হয়ে গেছে কিন্তু কোন কারনে সংসার করতে পারেনি আবার দুই বছর পর দেখা গেছে সেই শিক্ষার্থী আবার স্কুলে এসে ক্লাস এইটে ভর্তি হয়েছে ।আসলে দুই বছর আগে লেখাপড়ার প্রতি যে আগ্রহ ছিল তার আসলে সেটা আর থাকে না নষ্ট হয়ে যায়।তাই আমি সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীরদের অভিভাবকদেরকে সচেতন হতে বলবো কারণ শিক্ষার্থীদের অনেক অভিভাবকরা কিন্তু শিক্ষিত না তারা তো আসলে কম বুঝে। তাই বাল্যবিবাহ নিয়ে উঠোন বৈঠক ঘনঘন করা প্রয়োজন।

ডোমার উপজেলার সচেতন মহলের ব্যক্তিরা বলছেন দারিদ্র্য, কুসংস্কার ও নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এসব বাল্যবিবাহের মূল কারণ। পাশাপাশি অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব ও প্রশাসনের সীমিত তৎপরতাও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডোমারের মতো একটি সম্ভাবনাময় উপজেলায় কিশোরীদের জীবন ও স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাওয়া সত্যিই উদ্বেগজনক। এখনই যদি সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে আরও ভয়াবহ হতে পারে।

ডোমার উপজেলা নারী বিষয়ক কর্মকর্তা নূরুন্নাহার শাহজাদী বলেন, বাল্যবিবাহ শুধু একজন মেয়ের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে না, বরং পুরো সমাজকে ঝুঁকির মুখে ফেলে। আমরা উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বাল্যবিবাহর সম্পর্কে সচেতনতা করি।বাল্যবিবাহ সংবাদ পেলে সেখানে গিয়ে বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য পরামর্শ প্রদান করি।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, আমরা বাল্যবিবাহ রোধে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। যে কোন সূত্রে বাল্য বিবাহের খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে আমরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনটি বিয়ে বন্ধ করেছি । পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা সভায় প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদেরকে এ বিষয়ে অবগত করছি এর সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা করছি। তবে সমাজের সব স্তরে অভিভাবকদের সহযোগিতা না পেলে এই সামাজিক ব্যাধি পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব নয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট