1. live@dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒
  2. info@www.dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 :
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সরিষাবাড়িতে ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা’র বৈঠক থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার -৩ নরসিংদীর মাধবদীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান তিন দোকানকে জরিমানা। নরসিংদীর শিবপুরে ভয়ংকর ডাকাত সবুজ ওরফে সেলিমকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সৈরতান্ত্রিক সংবিধান দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কি সম্ভব? —আল আমিন মিলু বিসিএস ক্যাডারের দ্বার প্রান্তে শাকিল সকলের দোয়া প্রত্যাশি মহুরম দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব এর রুহের মাগফিরাত কামনায় শাহ মোস্তফা বিদ্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে এনসিপিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অটোরিকশার চাপায় এক শিশু নিহত ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণগেল রবিন মিয়ার নরসিংদীর পলাশে বি এন পির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি বিদ্ধ দুইজনের মধ্যে ইসমাইল নামে একজন নিহত

সংস্কার কমিশনের সংলাপে সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ কেন জরুরি? আল আমিন মিলু

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট, নির্বাচনী অস্থিরতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য নয়। বরং এর গভীরে রয়েছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নীতিগত দুর্বলতা, যা শুধুমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চিহ্নিত বা সমাধান করা সম্ভব নয়। এ কারণেই সংস্কার কমিশনের সংলাপে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নয়, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।

সুশীল সমাজ মানে শুধুই কিছু এনজিও প্রতিনিধি নয়—এদের মধ্যে থাকেন শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, পেশাজীবী, বিচার ও প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞজন, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা রাজনীতির বাইরে থেকে সমাজকে দেখেন, বোঝেন এবং পরিবর্তনের বাস্তব রূপরেখা দিতে পারেন।

সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সময় নিজ নিজ অবস্থানে অটল থাকে, অপরপক্ষকে দোষারোপ করে ও সমঝোতার পরিবর্তে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করাই তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে সুশীল সমাজ একটি ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে, আলোচনায় বস্তুনিষ্ঠতা আনতে পারে এবং সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারে।

আমরা ভুলে গেলে চলবে না, সংস্কার মানে কেবল ক্ষমতার বদল নয়—এটা হলো রাষ্ট্রযন্ত্র, আইন, নির্বাচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক মূল্যবোধের সামগ্রিক পুনর্গঠন। এই পূর্ণাঙ্গ সংস্কার পরিকল্পনা রাজনৈতিক রূপরেখার বাইরেও চিন্তা করতে হবে, যেটি একজন অধ্যাপক, সাংবাদিক বা মানবাধিকার কর্মী অনেক গভীরভাবে বিশ্লেষণ করতে পারেন।

সুশীল সমাজকে উপেক্ষা করে যে সংলাপ হয়, তা একপেশে, অপূর্ণ ও প্রহসনেই পরিণত হয়। তাই সংস্কার কমিশন গঠনকালে শুরু থেকেই সংবিধান বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকারকর্মী, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও শিক্ষাবিদদের যুক্ত করা উচিত। তারা রাজনৈতিক পক্ষের বাইরে থেকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে মতামত দেবেন, যার ওপর ভিত্তি করে একটি টেকসই রাষ্ট্রগঠনের পথরেখা তৈরি করা সম্ভব।

আজ যখন দেশের মানুষ নির্বাচন, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা হারাতে বসেছে, তখন দরকার একটি সর্বজনীন আস্থার জায়গা তৈরি করা। সেই জায়গাটা হবে একটি গ্রহণযোগ্য সংস্কার কমিশন, যার আলোচনায় থাকবে দেশের প্রকৃত শুভবুদ্ধির প্রতিনিধি—সুশীল সমাজ।

সবার অংশগ্রহণে গঠিত কমিশনই পারে দেশের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে। রাজনৈতিক সংকটের সমাধান যদি চাই, তাহলে গণতান্ত্রিক আলোচনায় সুশীল সমাজের ভূমিকা অনিবার্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট