কামরুল হাসান:
‘সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, তোমার ছেলেদের কাÐ দেখে হাসি’। হ্যাঁ, হাসি! তবে, এ হাসি কিন্তু খুশি বা সুখের হাসি নয়। বরং, অনেকটাই দু:খের। আবার, অবজ্ঞারও বটে। সুতরাং, অবজ্ঞা সূচক। এইতো সে দিন এক কাজে জামালপুর সদর উপজেলাধীন দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম। পরিষদে ঢুকার সামান্য আগেই বাম দিকে ঠাঁই দাড়িয়ে থাকা একটি শহীদ মিনার চোখে পড়লো। খানিকটা দেখেই মনে হলো-এর অবস্থা তেমন একটা ভালো না। আর যারা এর দেখভাল করেন- তাদের মন যে দৈন্যেভরা তা আর বুঝতে অসুবিধা হলো না। কারন-শহীদ মিনারটিতে ব্যবহৃত লোহার রডগুলোর বেশ কয়েকটি কেটে নেয়া। মনে হয়, এটা ছেলে-পুলেদের কাজ। বাজে ছেলেরাই এমন করেছে। রড বেচে নেশার টাকা জোগাড় করেছে। স্থানীয়দের কেউ কেউ এমন সব মন্তব্য ছুড়লেন। স্থানীয়দের ছুড়া মন্তব্য একেবারে ফেলে দেবার জো নেই। নেশার টাকা জোগাড় করতেই রড বেচেছে। এটার কিছুটা সত্যতাও মেলেছে। এটা যাচাই করতে আগে ওই পরিষদের গ্রাম পুলিশ বা মহল্লাদার বা চৌকিদারদের ধরুন। তাহলেই আসল ব্যাপার বেরিয়ে আসবে। কারন-প্রত্যেক রাতেই কোন না কোন গ্রাম পুলিশ বা মহল্লাদার বা চৌকিদার পরিষদ পাহারার দায়িত্বে থাকে। ঘুরিয়ে বললে, নয় তো তারাই রড কেটে বেচেছে। তাও নেশার টাকা জোগাড় করতে। তাও যদি কেউ না মানতে না চান-তাহলে অবশ্যই চেয়ারম্যান বেচেছে। একটা না একটা তো মানতেই হবে। এতো সবে জড়ায়ে লাভ কি? তাহলে শেষ-মেশ এই দাড়ালো- বাজে ছেলেরাই রড বেচে নেশার টাকা জোগাড় করেছে। কারন- তারা ধন্যি ছেলে। তা নাহলে মায়ের ভাষা রক্ষা করতে যারা জীবন দিয়ে শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতিতে নির্মিত এই শহীদ মিনারের রড বিক্রি করে নেশা খায়!
কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২