নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনীতি একটি মহান পেশা। জাতির ভবিষ্যৎ গঠনের হাতিয়ার। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বশীল মাধ্যম। কিন্তু আজ এই রাজনীতিই কিছু মানুষের কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনীতি করাটা কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু এমন রাজনীতি কেন করব আমরা, যেখানে বাবা মারা গেলে জানাজা নামাজে অংশ নিতে পারি না, মাকে কবর দিতে পারি না, সন্তানের বিয়েতে থাকতে পারি না?
এই কেমন রাজনীতি, যেখানে একজন মানুষকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়? যে রাজনীতি মানুষকে ঘৃণার পাত্রে পরিণত করে, যেখানে শত্রুতা ও প্রতিহিংসাই প্রধান চালিকাশক্তি— সেটি কি সত্যিই গণমানুষের রাজনীতি?
আমরা ভুলে যাচ্ছি, রাজনীতি মানে জনগণের জন্য কাজ করা, ভালোবাসা বিলানো, সেবা দিয়ে হৃদয় জয় করা। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় আমরা এমন এক রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখানে বিরোধী দল মানেই শত্রু, ভিন্নমত মানেই রাষ্ট্রদ্রোহী।
আমাদের চোখ খুলে দেওয়া দরকার।
আর কত শিক্ষা আমাদের দরকার?
আর কত লাশ, আর কত অশ্রু, আর কত নিঃসঙ্গতা পেরিয়ে আমরা বুঝব— এ পথ ভুল?
রাজনীতি যদি একজন মানুষকে তার পিতার দাফনে উপস্থিত থাকার অধিকার না দেয়, তবে সে রাজনীতি নয়, তা নিপীড়ন। যদি সন্তানের হাসিমুখে পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকে, তবে তা নেতৃত্ব নয়, নিঃসঙ্গ বন্দিত্ব।
আমাদের দরকার এমন রাজনীতি, যেখানে মতের ভিন্নতা থাকবে, কিন্তু মানবিকতা হারাবে না। যেখানে প্রতিপক্ষ থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা থাকবে না। যেখানে নেতৃত্ব থাকবে, কিন্তু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা থাকবে না।
আসুন, আমরা রাজনীতিকে অপরাধ না, বরং দায়িত্ব হিসেবে দেখি। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা ফিরিয়ে আনি। নিজেরাই বদলাই, যাতে আগামী প্রজন্মকে এমন রাজনীতি উত্তরাধিকার হিসেবে না দিতে হয়, যা মানুষকে পরিবার থেকে, আত্মার সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে তোলে।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর