নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণআন্দোলনের একটি শক্তিশালী নাম হচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ। এটি একটি নবীন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যার সূচনা হয়েছিল সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। এ আন্দোলন তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এবং দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি কার্যকর কণ্ঠস্বর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
গঠনের পটভূমি:
গণঅধিকার পরিষদের জন্ম মূলত শিক্ষিত তরুণ সমাজ ও নিপীড়িত জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন। কোটা সংস্কার আন্দোলন, শিক্ষানীতি, বেকারত্ব, নিপীড়ন ও রাজনৈতিক নিস্ক্রিয়তার প্রতিবাদ থেকে আন্দোলনের বীজ বপন হয়। সময়ের সাথে এটি সংগঠিত রূপ নেয় এবং একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
গণঅধিকার পরিষদের মূল লক্ষ্য হলো—সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, যুব সমাজের কর্মসংস্থান, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং মৌলিক অধিকার আদায়। তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল ও জনবান্ধব রাষ্ট্র গঠনে বিশ্বাসী।
আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য:
১. তরুণ নেতৃত্ব: এই আন্দোলনের প্রধান বৈশিষ্ট্য তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
২. জনসম্পৃক্ততা: সাধারণ মানুষের সমস্যা, দাবি ও চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
৩. শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ: সহিংসতা নয়, বরং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদের পথ বেছে নেওয়া হয়।
৪. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি তারা জোরালোভাবে উত্থাপন করে।
সমাজে প্রভাব:
গণঅধিকার পরিষদের আন্দোলন নতুন প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়িয়েছে। তরুণ সমাজ আগ্রহী হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশে নতুন এক আশার আলো জ্বালিয়েছে।
সমাপ্তি:
গণঅধিকার পরিষদ একটি নতুন দিনের সম্ভাবনার নাম। এ আন্দোলন যদি তার মূলনীতি ও আদর্শ ধরে রাখতে পারে, তবে ভবিষ্যতে এটি দেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হতে পারে। জনগণের সচেতন অংশগ্রহণ এবং সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদ দেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর