নিজস্ব প্রতিবেদক
আজকের বাংলাদেশ রাজনীতিতে এক অদ্ভুত দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। যেন রাজনীতি আর সেবা নয়, একপ্রকার পেশাগত লাভের মাধ্যম। দল-মত নির্বিশেষে অনেক রাজনীতিক আজ নিজস্ব সুবিধা, ক্ষমতা, বা আত্মীয়স্বজনের স্বার্থ রক্ষায় অধিক আগ্রহী, দেশের ভবিষ্যৎ, জাতির উন্নয়ন সেখানে গৌণ হয়ে পড়েছে। অথচ রাজনীতি ছিল মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, জাতির কল্যাণের জন্য।
একজন প্রকৃত রাজনীতিকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জনসেবা। তিনি যখন সিদ্ধান্ত নেবেন, আইন প্রণয়ন করবেন, কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করবেন—তখন তার চিন্তার কেন্দ্রে থাকতে হবে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। কিন্তু আমরা দেখছি, অনেক সময় রাজনীতির মঞ্চে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত লাভের ছায়া এতটাই ঘন হয় যে জাতির স্বার্থ তাতে ঢাকা পড়ে যায়।
দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ঐক্য, আত্মত্যাগ ও দূরদর্শিতা ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান—তাঁদের মত নেতারা দেশ ও জনগণকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করেছেন বলেই আমরা আজ স্বাধীন, স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার পেয়েছি। অথচ তাঁদের দেখানো পথ থেকে আমরা কতটা সরে এসেছি, ভাববার সময় এসেছে।
আজ যদি রাজনীতি ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে নীতিনির্ভর হতো, তাহলে দুর্নীতি কমত, প্রশাসন হতো জবাবদিহিতামূলক, আর সাধারণ মানুষ পেত ন্যায্য অধিকার। উন্নয়নের প্রকল্পগুলো হতো টেকসই, স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাত শেষ প্রান্তের মানুষের ঘরে ঘরে, শিক্ষার মান বাড়ত, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো।
তাই আজ সময় এসেছে প্রশ্ন তোলার—আমরা কেমন রাজনীতি চাই? নিজের স্বার্থ হাসিলের রাজনীতি, নাকি দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের রাজনীতি?
চলুন, রাজনীতিতে আমরা নিজেদের নয়, দেশের কথা ভাবি। ব্যক্তিস্বার্থকে পেছনে ফেলে জাতির স্বার্থকে সামনে রাখি। তবেই রাজনীতি পাবে তার প্রকৃত মহিমা, আর বাংলাদেশ পাবে একটি সমৃদ্ধ, ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর