নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতির চেহারা যতটা জাঁকজমকপূর্ণ বাইরে থেকে দেখা যায়, বাস্তবতায় তা ততটাই জটিল, দ্বিচারিতায় ভরা এবং আত্মস্বার্থনির্ভর। এই দেশে রাজনীতিতে কারো পুঁজি ১৯৭১, কারো পুঁজি স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন। কেউ ধর্মকে করে ভোটের হাতিয়ার, কেউ আবার ২৪এর চমক দেখিয়ে নিজেকে ‘গণমানুষের কণ্ঠ’ বলে দাবি করেন। কিন্তু প্রকৃত দেশপ্রেমিক—যিনি দেশকে নিজের চেয়ে বড় ভাবেন, যিনি জনগণের কষ্টে ব্যথিত হন, যিনি ক্ষমতা নয়, দায়িত্বকে বড় করে দেখেন—তাঁকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও রাজনীতি যেন জনগণের নয়, বরং গুটিকয়েক পরিবারের ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। রাজনীতিবিদদের কথায় দেশপ্রেম থাকলেও, কাজে সেটা অনুপস্থিত। উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু সেটার চেহারা অনেক সময় লোক দেখানো। জনগণের মৌলিক চাহিদার বদলে রাজনৈতিক হানাহানি, দোষারোপ আর ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখাই হয়ে উঠেছে মূল লক্ষ্য।
একসময় রাজনীতি ছিল ত্যাগের, আদর্শের, মানবিক মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু এখন সেই জায়গা দখল করেছে সুবিধাবাদ, দুর্নীতি আর মুখোশধারী দেশপ্রেমিকরা। আজ রাজনীতিবিদরা জনগণের কথা বলেন, কিন্তু কাজ করেন গোষ্ঠীস্বার্থে। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি, আর পরে জনগণের পাশে ছায়া দেখা যায় না।
উপসংহার:
দেশপ্রেম মানে শুধু পতাকা ও ভাষা নয়; দেশপ্রেম মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, সৎ থাকা, এবং জনগণের জন্য কাজ করা। বাংলাদেশে রাজনীতির মঞ্চে প্রকৃত দেশপ্রেমিকের যে অভাব, তা সমাজের জন্য এক বড় সংকেত। এখনই সময়, জাতি হিসেবে আমাদের চোখ খোলা রাখা, সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নেতাদের খুঁজে বের করা এবং স্বার্থপর রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
আল আমিন মিলু
আহবায়ক
গনঅধিকার পরিষদ সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা।