কামরুল হাসান:
দক্ষিন জামালপুরের সানশাইন ল্যাবরেটরি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী, ১ম সেমিষ্টার পরীক্ষার ফলাফল, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ৩মে শনিবার স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। হাফেজ সাব্বির আহম্মেদ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শুরু হয়। প্রধান অতিথি মাসুমা আরমিন মিতু, বিশেষ অতিথি জিয়াউল হক মাস্টার, ফিরোজ আহম্মেদ ফরিদ, জামাল মন্ডল ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এডভোকেট মোজাম্মেল হক ও উপদেষ্টা জহুরুল ইসলাম প্রমুখ জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দেন। এরপর শুরু হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার ১ম পর্ব ঃ (ইংলিশ) ‘স্মার্ট ফোনস মেক আস স্টুপিড’। এ পর্বের বিষয়ের পক্ষে অবস্থান নেয় ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহনা ও তার দল। আর ১০ম শ্রেণির শান্তনা সরকার ও তার দল অবস্থান নেয় বিপক্ষে। এ পর্বের ফলাফলে বিপক্ষ দলের জয় হয়। সেরা তার্কিক হয় বিপক্ষ দলের মাহিরা জান্নাত মাফি। তার্কিকদের উপস্থাপন, বাক্য প্রয়োগ, বাগ্মীতা ও যুক্তি খন্ডনসহ বিভিন্ন বিষয়েই মুগ্ধ সবাই। এতে শুধু তার্কিকরাই নয়, যারা তাদের সঠিক নির্দেশনা দিয়ে তৈরি করেছেন তারাও। আর তাদের অভিভাবকরাও। মনে হচ্ছিল যেন কোন জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরের নামি দামি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলছে। ২য় পর্ব ঃ (বাংলা) ‘নৈতিক শিক্ষার প্রসারই পারে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মান করতে’। এ পর্বের বিষয়ের পক্ষে অবস্থান নেয় ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া জান্নাত লিভা ও তার দল। আর একই শ্রেণির কামরুল ইসলাম রিয়াদ ও তার দল অবস্থান নেয় বিপক্ষে। এ পর্বের ফলাফলে পক্ষ দলের জয় হয়। সেরা তার্কিক হয় পক্ষ দলের মারিয়া জান্নাত লিভা। পরে ১ম সেমিষ্টার পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করা হয়। সবশেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধিতসহ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অন্যান্য প্রতিযোগিতার জিয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অত্র অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর হাফিজুর রহমান সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনসহ বিদায়ী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পরিচালক প্রফেসর মামুনুর রশিদ।