
প্রদীপ চন্দ্র মম
থামো!
এই শহর আজ কথা বলে না—
কারণ কণ্ঠগুলো ১৪ ডিসেম্বরেই
গলা টিপে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
চকবোর্ডে শেখানো হতো
স্বাধীনতার মানে,
কলমে আঁকা ছিল মানুষের মুখ—
ওরা এসে বলেছিল, “চুপ করো!”
আর বন্দুক দিয়ে
মৃত্যুর বানান শেখানো হয়েছিল।
শিক্ষক ছিল— চোখ বেঁধে নেওয়া হলো,
ডাক্তার ছিল— হাত ভেঙে দেওয়া হলো,
লেখক ছিল— শব্দগুলো কুড়াল দিয়ে কাটা হলো,
বিজ্ঞানী ছিল— ভবিষ্যৎটাকে গুলি করা হলো।
এই কি যুদ্ধ?
না—
এটা ছিল মস্তিষ্ক নিধনের নীলনকশা,
একটি জাতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার
ঠান্ডা মাথার গণহত্যা।
রায়েরবাজার!
মিরপুর!
নাম নয়—
এগুলো হলো
বাংলার মস্তিষ্ক-ভাঙা কবরস্থান।
ওরা জানত—
স্বাধীনতা আসছে,
তাই শেষবার কামড় বসিয়েছিল,
পরাজয়ের আগমুহূর্তে
আলোকে অন্ধ করতে চেয়েছিল।
কিন্তু শোনো, ঘাতক!
কলম মরে না,
চিন্তা গুলিতে মরে না,
একজন বুদ্ধিজীবী মরলে
হাজার প্রশ্ন জন্ম নেয়।
১৪ ডিসেম্বর
শুধু কান্নার দিন নয়—
এটা গর্জে ওঠার দিন,
মেধার প্রতি বিশ্বাস রাখার দিন,
ঘাতকের চোখে চোখ রেখে কথা বলার দিন।
“তোমরা হত্যা করেছিলে মানুষ,
আমরা বাঁচিয়ে রেখেছি ইতিহাস!”
১৪/১২/২০২৫ খ্রিঃ।