
কামরুল হাসান:
তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপি প্রাথমিক পর্যায়ের সহ-শিক্ষকদের কর্ম বিরতি চলছে। দাবিগুলো হচ্ছে- এক. সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড-এর স্বীকৃতি প্রদান। দুই. ১০-১৬ বছর পূর্ণ হওয়া শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড প্রদান। তিন. শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।
এ কর্মসূচির আওতায় জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা, শাহবাজপুর, রশিদপুর ও দিগপাইত ইউনিয়নের বেশ ক’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিক্ষা বর্জন করে। সংবাদ পেয়ে জামালপুর সদরের সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (দিগপাইত ক্লাস্টার) মোয়াজ্জেম হোসেন সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের পূর্বপাড় দিঘুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তারারভিটা অধ্যাপক আব্দুল হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিক্ষা বর্জন করা হয়েছে দেখতে পান। পরে উল্লেখিত বিদ্যালয়গুলোতে তার সহযোগিতায় পরীক্ষা চালু করেন। তবে দিগপাইত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে ও অন্যদের সহযোগিতায় পরিক্ষা চলছিল।
অপর দিকে জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের চর্ষি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডোলা শাহবাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিক্ষা বর্জনের খবর পাওয়া যায়।
দিগপাইত ক্লাস্টারের দিগপাইত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তাহেরা ইয়াছমিনের ভাষ্য-তিনি যথা সময়ে যথা নিয়মে পরীক্ষা চালু করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের এটিইও মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপি প্রাথমিক পর্যায়ের সহ-শিক্ষকদের কর্ম বিরতি চলছে। এ কর্মসূচির আওতায় কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিক্ষা বর্জন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরে তার সহযোগিতায় পরীক্ষা চালু করা হয়।