নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজনীতিতে বা ব্যক্তিজীবনে একেকজন মানুষের সামনে একেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আসে। কেউ ক্ষমতার অহংকারে নিজের পথ হারিয়ে ফেলে, আবার কেউ বিনয় দেখাতে গিয়ে নিজেকে এতটাই “সস্তা” করে ফেলে যে তার অর্জনের মূল্যই পড়ে যায়। অথচ সত্যিটা হলো—অহংকার আর আত্মসম্মানের মাঝে এক অদৃশ্য কিন্তু শক্তিশালী এক সীমা আছে, যেটা ধরে রাখতে পারলে মানুষ চরিত্রে, কাজে এবং নেতৃত্বে দু’দিকেই আলোকিত হয়ে ওঠে।
আমি অহংকারী নই—এটা যেমন সত্য, তেমনি অতোটা সহজ বা সস্তাও হতে চাই না, যাতে করে নিজের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, সংগ্রাম, অবস্থান, ত্যাগ আর অর্জন মুহূর্তেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। কারণ মানুষ যখন অনেক লড়াই করে নিজেকে দাঁড় করায়, তখন তাকে রক্ষা করার দায়িত্বও তার নিজেরই। এখানে কোমলতা দরকার, তবে দৃঢ়তাও জরুরি।
আজকের রাজনীতিতে এমন অনেকেই আছেন যারা সব মানুষের মন রাখতে রাখতে নিজের অবস্থানই হারিয়ে ফেলেন। আবার অনেকে অহংকারে এমনভাবে নিজেকে তুলে ধরেন যে মানুষ তাদের কাছে এগোতেই ভয় পায়। কিন্তু একজন দায়িত্বশীল নেতা জানেন—মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হয়, কিন্তু নিজের প্রতি সম্মান রক্ষা করেও তা করা সম্ভব।
নিজেকে সস্তা করে ফেললে কেউ আপনাকে মূল্য দেবে না—এটাই বাস্তবতা। আর অহংকারে ডুবে গেলে মানুষ আপনাকে টেনে নামাবে—এটাও বাস্তবতা। তাই প্রয়োজন মাঝের সেই ভারসাম্য—যেখানে আপনি নম্র, কিন্তু দুর্বল নন; সম্মান দেখান, কিন্তু তোষণ করেন না; সবার কথা শোনেন, কিন্তু নিজের অবস্থান ভুলে যান না।
আমার বিশ্বাস, মানুষ যে সম্মান দেয়, তা অর্জন করতে হয় চরিত্র দিয়ে, কাজ দিয়ে, সত্য দিয়ে। আর সেই অর্জন যত কষ্টের হোক, তা রক্ষা করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই মানুষ আমাকে ভালোবাসুক, সম্মান করুক—কিন্তু সেই সম্মান যেন আমার পরিশ্রমকে, আমার নীতিকে, আমার আত্মসম্মানকে সস্তা না করে ফেলে।
জীবনের পথচলায় অহংকার বাদ দিতে হয়—এটা সত্য। কিন্তু আত্মসম্মান ধরে রাখতে হয়—এটাই নেতৃত্ব। আর আমি সেই পথেই হাঁটছি—নম্রতার সঙ্গে দৃঢ়তার, আদর্শের সঙ্গে বাস্তবতার, মানুষের সঙ্গে নিজের অবস্থানের সুন্দর এক সমন্বয় গড়ে তুলতে।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা