
নিজস্ব প্রতিবেদক
আজকের বাংলাদেশে রাজনীতি আর আগের মতো নেই। অতীতের মতো অন্ধ আনুগত্য, মুখের কথায় বিশ্বাস, কিংবা পরিবারভিত্তিক রাজনীতির প্রভাব—সবই দ্রুত ভেঙে পড়ছে। কারণ বদলে গেছে পুরো একটি প্রজন্ম। তারা প্রশ্ন করে, তারা বিশ্লেষণ করে, তারা দেখে নেতার কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কি না। তাদের কাছে সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হলো সততা।
এই প্রজন্ম আর মেনে নেয় না যে একজন নেতা ক্ষমতায় গিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করবে, পরিবার-গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেবে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে। তারা চায় নেতা হোক স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ, জবাবদিহিমূলক—যে নেতা জনগণের করের টাকায় রাজা-সুলভ জীবন নয়, বরং জনগণের সমস্যার সমাধান করবে। তাই আজ নেতৃত্ব মানে আর শুধু জনপ্রিয়তা নয়; নেতৃত্ব মানে নৈতিক দৃঢ়তা।
সৎ না হলে যেকোনো নেতা যত বড় বক্তা হোক, যত বড় সংগঠনই তার পক্ষে থাকুক—এই প্রজন্ম তাকে বয়কট করতে এক মুহূর্তও দেরি করবে না। কারণ তারা জানে, দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে নেতৃত্ব হতে হবে পরিষ্কার ও নিষ্কলুষ। মুখে উন্নয়নের গল্প বললে হবে না—নিজের জীবনে, সিদ্ধান্তে, কাজে, প্রতিশ্রুতিতে সেই উন্নয়ন ও সততার প্রমাণ রাখতে হবে।
জনগণ এখন আর ভুলে থাকে না; সোশ্যাল মিডিয়া তাদের হাতে শক্তিশালী অস্ত্র। তাই নেতার প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি বক্তব্য, প্রতিটি আচরণ মুহূর্তেই জনসমক্ষে আসে। যে নেতা নিজের চরিত্র লুকাতে চায়, ক্ষমতার আড়ালে দুর্নীতি ঢাকতে চায়—সে নিজেই নিজের পতন ডেকে আনে।
এই প্রজন্ম চায় এমন নেতা, যে ক্ষমতায় নয়– দায়িত্বে বিশ্বাস করে। যে ব্যক্তিগত লাভ নয়– জাতির কল্যাণ দেখে। যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে চায় না, বরং তা বাস্তবায়নে রাত দিন কাজ করে।
একথা এখন নিশ্চিত—
যারা সৎ, স্বচ্ছ, সাহসী—এই প্রজন্ম তাদের সঙ্গে।
আর যারা নয়—তাদের বয়কট করবে ইতিহাসই।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা জামালপুর