
কামরুল হাসান:
জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া পটল গ্রামের সুজল মিয়ার ছেলে সোহেলের সাথে ১৫ বছর আগে নিকটবর্তী ছোনটিয়া জামালের পাড়া গ্রামের বাবু মিয়ার মেয়ে রুবি বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে সোহেল মিয়া মানসিক রোগে ভুগছে। এ কারনে তাকে আগের মত আর ভালো লাগেনা রুবি বেগমের। তাই তাদের দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরে। এ কারনে রুবি বেগম গত ৯ নভেম্বর রোববার শ^শুর বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে টাকা ও জিনিসপত্রসহ বাবার বাড়ি চলে যায়। এ বিষয়ে স্বামীর বাড়ির লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের দ্বরস্থ হয়। এ বিষয়ে ১২ নভেম্বর বুধবার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে শালিস হয়। শালিসে রুবি বেগম তার স্বামীর ঘর করবে না বলে সাফ জানায়। নিজেকে বুঝার জন্য রুবিকে কয়েক দিন সময় দেয় আদালত। ১৯ নভেম্বর বুধবার ফের শালিস হয়। এ দিনও রুবির স্পষ্ট কথা সে আর স্বামীর ঘর করবে না। আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য উভয় পক্ষের অভিভাবকদের বুঝে-শোনে মতামত জানাতে বলে।
এ ছাড়া জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি গ্রামের দুলাল মীরের সহজ সরল ছেলে বিপুল মিয়া। আড়াই বছর আগে সে পাশর্^বর্তী টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের শিরনকাজি গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ে করে। তবে মেয়েটি জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের পূর্বপাড় দিঘুলী গ্রামে নানা বাড়িতে থেকে বড় হয়েছে। নব দম্পতি জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। বেশ কিছু দিন ধরে মেয়েটি যৌবিক তাড়নায় অন্য এক যুবকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যকার সম্পর্ক এতটাই গভীর যে কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। অপর দিকে মেয়েটি তার স্বামীকেও ছেড়ে প্রেমিকের সাথে ঘর করতেও পারছে না। কারন- সে তার স্বামীকেও খুব ভালোবাসে। এমতাবস্থায় মেয়েটি উভয় সঙ্কটে পড়ে সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছিল। বিষয়টি প্রকাশ পেলে স্বামী তার স্ত্রীকে এ হেন কাজ থেকে বিরত থাকতে নানা চাপ দেয়। এক পর্যায়ে ১৮ নভেম্বর মঙ্গল বার সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কিন্তু এর আগে চিরকুটে নিজ হাতে লেখে যায়-তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। সে লোভে পড়েছিল, তাই এ পথ বেছে নিয়েছে। তার স্বামীর কোন দোষ নেই। পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে লাশ মেয়ের বাবার বাড়ি আসলে দাফন করা হয়।
কামরুল হাসান