1. live@dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒
  2. info@www.dainikjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ 𝟐𝟒 :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বোকা আমি আমি বোকাই রয়ে গেলাম! গ্যাস সংকটে থমকে গেছে কৃষি-অর্থনীতি বছরে বাড়তি বৈদেশিক ব্যয় ১.৩ বিলিয়ন ডলার ২৩ মাস ধরে বন্ধ যমুনা সার কারখানা রাজশাহী দুর্গাপুরে সার পাচারের সময় জনতার হাতে ব্যবসায়ী আটক সংবিধান সংস্কার ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার গ্যারাকল — একটি বিশ্লেষণধর্মী কলাম লাল পাতার আকাশে অদ্ভুত মুখ আসুন অঙ্গীকার করি—জনগণের অধিকার নিয়ে খেলবো না, আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে না, -আল আমিন মিলু নরসিংদীর শিবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির প্রথম দিনেই দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নরসিংদীর শিবপুরে মানসম্পন্ন খাদ্যশস্য বিতরণ নিশ্চিতকরণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত বড্ড বোকা আমি : সর্বদা সব সময়ই

গ্যাস সংকটে থমকে গেছে কৃষি-অর্থনীতি বছরে বাড়তি বৈদেশিক ব্যয় ১.৩ বিলিয়ন ডলার ২৩ মাস ধরে বন্ধ যমুনা সার কারখানা

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

 জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া উৎপাদনকারী যমুনা সার কারখানা টানা ২৩ মাস ধরে বন্ধ। প্রধান কারণ—গ্যাস সংকট। দীর্ঘদিন বন্ধে প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে রাষ্ট্রীয় এই কারখানায়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভও।

যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) বলেন, “যমুনা সার কারখানায় দৈনিক গ্যাস চাহিদা ৭৮–৮০ এমএমসিএফ। বর্তমানে আমরা তার এক-তৃতীয়াংশও পাই না। এ অবস্থায় উৎপাদন সম্ভব নয়।” তিনি আরো জানান, উৎপাদন বন্ধ থাকলেও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ, স্থাপনা পরিচালনাসহ প্রতিদিন তিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, “যমুনা সার কারখানার ইউরিয়া সারের গুনগতমান ভালো হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কৃষকের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। উৎপাদন বন্ধ থাকায় বাজারে মানসম্মত ইউরিয়ার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এতে ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।” এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,, দীর্ঘমেয়াদে এই কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

শিক্ষা বিষয়ক গবেষক, কলামিস্ট সরকার আবুল হোসেন বলেন, “যমুনা সার কারখানা সচল থাকলে বছরে ৮-৯ লাখ টন ইউরিয়া দেশেই উৎপাদন সম্ভব হতো। এখন পুরোটা আমদানি করতে হচ্ছে। এর জন্য বছরে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১.১ থেকে ১.৩ বিলিয়ন ডলার।” তিনি আরও বলেন, “একদিকে দেশের রিজার্ভ কমছে, অন্যদিকে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে—এটি অর্থনীতির জন্য দ্বিমুখী ঝুঁকি।”

যমুনা সার কারখানার প্রকৌশল বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সতর্ক করে বলেন, “এত দীর্ঘসময় কারখানা বন্ধ থাকা যন্ত্রপাতির জন্য বিপজ্জনক। কারখানায় পুনরায় উৎপাদন চালু করতে হলে বড় ধরনের মেরামত খরচ লাগতে পারে। তারপরও গ্যাস সংযোগ পেলে আমরা উৎপাদন যেতে প্রস্তুত আছি।’

গণঅধিকার পরিষদ সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আল-আমিন মিলু বলেন,
“কারখানাকে কেন্দ্র করেই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য। এখন ৩০–৪০ শতাংশ ব্যবসা ধসে পড়েছে। বহু পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।” তিনি আরো বলেন, যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী, শ্রমিক, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সরকারও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)’র একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “গ্যাস সরবরাহের অগ্রাধিকার তালিকায় সার কারখানাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অবহেলা করলে সমস্যার বোঝা আরও বাড়বে। দেখা দিতে পারে সারের তীব্র সংকট। তাই কৃষক তথা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন্ধ সার কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

যমুনা সার কারখানার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)’র সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম তালুকদার সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনটি দাবী জানিয়েছেন।
১. সার কারখানার জন্য বিশেষ গ্যাস কোটা: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্প গ্যাস সরবরাহ।
2. স্বল্পমেয়াদে এলএনজি আমদানি বাড়ানো: উৎপাদন অন্তত আংশিক চালু করা।
3. দীর্ঘমেয়াদে গ্যাস অনুসন্ধান ত্বরান্বিত করা: স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া স্থায়ী সমাধান নেই।

জামালপুর জেলা ট্রাক, ট্যাঙ্কলড়ী, কভার্ডভ্যান, মিনিট্রাক ও ট্রাক্টর চালক শ্রমিক ইউনিয়ন-৩৬৪০’র সভাপতি আঃ মোত্তালেব বলেন, ‘যমুনা সার কারখানা টানা ২৩ মাস বন্ধ থাকা শুধু একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংকট নয়—এটি কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এবং মোট অর্থনীতির ওপর সরাসরি আঘাত। গ্যাস সংকট সমাধানে সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে আরও বড় ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে দেশ।

যমুনা সার কারখানার প্রশাসন জিএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কারখানায় গ্যাস সংযোগ পেলেই আমরা পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে প্রস্তুত আছি। কবে নাগাদ গ্যাস সংযোগ পেতে পারেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট