নিজস্ব প্রতিবেদক
দল মানে কেবল হাইকমান্ট নয়, কেবল চেয়ার-টেবিলের সিদ্ধান্ত নয়। একটি রাজনৈতিক দলের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার তৃণমূল কর্মী, যারা গ্রামে-গঞ্জে, মানুষের সুখ-দুঃখের পাশে থেকে দলকে বাঁচিয়ে রাখে, লড়াইকে টিকিয়ে রাখে, স্বপ্নকে পথে নামায়।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই তৃণমূলের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। যখন নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক কৌশল, বা ক্ষমতার হিসাব—সবকিছুই উপরের স্তরে আবদ্ধ হয়ে পড়ে, তখন বাস্তব মাঠের পরিস্থিতি বোঝে একমাত্র তৃণমূলই।
কেন তৃণমূলই দলের প্রাণ?
🔹 কারণ তৃণমূলের চোখেই বাস্তবতা দেখা যায়
গ্রামের রাস্তা, বাজারের আড্ডা, মানুষের ক্ষোভ, হাসি–কান্না—এসব সম্পর্কে সবচেয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকে যারা প্রতিদিন মানুষের সঙ্গে থাকে তাদেরই।
🔹 কারণ তৃণমূলই ভোটের মাঠ গড়ে
নেতৃত্ব যত শক্তই হোক, মাঠে মানুষ নামায় তৃণমূল। মানুষকে সংগঠিত করা, ভোটারকে বোঝানো, বিরোধিতা মোকাবিলা করা—এসবই তাদের কাজ।
🔹 কারণ তৃণমূল দলকে টিকিয়ে রাখে প্রতিকূল সময়ে
রাজনীতিতে প্রতিকূলতা আসে। মামলা-হামলা, হয়রানি, ভয়ভীতি—এসবের মুখোমুখি হচ্ছেন তৃণমূলের সৈনিকরাই। নেতৃত্ব বদলায়, সময় বদলায়, কিন্তু তৃণমূলের লড়াই থেমে থাকে না।
বর্তমান রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রতি অবহেলা — বড় সংকট
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের বড় কারণ হলো—
অনেক দলই তৃণমূলকে মূল্যায়ন করে না। সিদ্ধান্ত আসে উপরের স্তর থেকে, মাঠের বাস্তবতা না বুঝেই। এতে দল দুর্বল হয়, বিচ্ছিন্ন হয়, এবং মানুষের আস্থা হারায়।
কিন্তু একটি দল তখনই বড় হয় যখন তার কর্মীরা মনে করে—
“এই দল আমার, আমি এই দলের অংশ।”
যে দল তৃণমূলকে সম্মান দেয়, সেই দলই টিকে থাকে
🔸 তৃণমূলের কথা শোনে
🔸 তৃণমূলের শ্রমকে মূল্য দেয়
🔸 সুযোগ-সম্মান দেয়
🔸 ভোটের পরে ভুলে না যায়
ইতিহাস বলছে—যে দল তৃণমূলকে পাশে পেয়েছে, সে দল কখনো পরাজিত হয়নি।
উপসংহার
আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বারবার প্রমাণ হয়েছে—
তৃণমূলই দলের প্রাণ, তৃণমূলই শক্তি, তৃণমূলই আগামী পথের আলো।
যে দল তৃণমূলকে ভালোবাসবে, সম্মান দেবে, সেই দলই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেবে, সেই দলই মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা
জামালপুর