নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতি এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে মানুষ খবর দেখে না, মেম দেখে! টিভি টকশো থেকে শুরু করে ফেসবুক লাইভ—সবখানেই রাজনীতিবিদরা যেন একে অপরকে ছাড়িয়ে যেতে চান “হাস্যরসের প্রতিযোগিতায়”!
কেউ বলেন, “আমরা জনগণের পাশে আছি”, অথচ পাশের মানুষটা লোডশেডিংয়ে ঘেমে নাকাল। কেউ দাবি করেন, “দেশে গনতন্ত্র এখন সবচেয়ে শক্তিশালী”, কিন্তু সেই ঘোষণা আসে পুলিশের ব্যারিকেড ঘেরা মঞ্চ থেকে। সত্যিই, এমন আত্মবিশ্বাস কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব!
এক দল বলে—“আমরা আন্দোলনে আছি”, অথচ আন্দোলনের মাঠে দেখা যায় শুধু একদল ফটোশপ করা পোস্টার! আরেক দল বলে—“জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে”, কিন্তু ভোটের দিন জনগণ থাকে বাড়িতে, আর ভোট পড়ে বুথেই—“অটো”!
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, রাজনীতিবিদরা এখন এমন এমন বক্তব্য দেন যে শুনলে মনে হয় দেশ নয়, যেন স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ক্লাব চলছে। কেউ বলেন, “বিদেশে বসে আন্দোলন করছি”—এ যেন চায়ের কাপ হাতে বিপ্লবের ডাক! আবার কেউ বলেন, “জনগণ খুব সুখে আছে”—মনে হয়, গরিবের চুলা জ্বলছে না, কিন্তু তাদের মুখে জ্বলে “উন্নয়নের আলো”!
আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তো যেন একেবারে নাটক চলছে। কেউ কিছু লিখলেই তাকে বলা হয় “দেশবিরোধী”, “ষড়যন্ত্রকারী” কিংবা “ফেসবুকের রাজনীতিক”! অথচ সেই নেতারাই দিনে তিনবার লাইভে এসে বলেন—“জনগণ চায় আমরা কথা বলি”!
রাজনীতি এখন সিরিয়াস বিষয় না, বরং পূর্ণদৈর্ঘ্য কমেডি সিনেমা। চরিত্র বদলায়, কিন্তু ডায়লগ একটাই—“আমরাই জনগণের দল!”
কখনও মনে হয়, আমাদের রাজনীতিবিদদের উচিত টকশো না করে সরাসরি নাটক বানানো। নাম রাখা যেতে পারে “রাজনীতি Unlimited” — সিজন শেষ হয়, কিন্তু হাসির উপকরণ শেষ হয় না।
দিনের শেষে জনগণ হাসে, কিন্তু সেই হাসির ভেতরেই লুকিয়ে থাকে একরাশ হতাশা। কারণ আমরা জানি—আজ যারা হাস্যরসের রাজা, কাল তারাই হবে নতুন ট্র্যাজেডির নায়ক।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা