
কামরুল হাসান:
আম একটি দেশী ফল। আমাদের জাতীয় ফলও এটি। প্রায় সব বাড়িতেই এ ফলের দুয়েকটা গাছ আছে বৈ কি! এর সাথে কম বেশি সবারই পরিচয় রয়েছে। মৌসুমে এর অবস্থাটা যেন এক রকম হেলাফেলার। তবুও যেন এর চাহিদার ব্যাপকতাটা অনেক। কিন্তু তা ঠিক কিসে! পরিস্থিতির আলোকে এটুকুন আচ করা যায় যে- কারও মুখে, কারও চোখে, কারও আবার মনে, আবার কারও মানসিকতায়। তবে, কারও কারও আবার মন ও মানসিকতা উভয় ক্ষেত্রেই। যাদের মন ও মানসিকতা উভয় ক্ষেত্রেই এ আমের চাহিদাটা অনেক খানি বেশি- হ্যাঁ,তাদের বিবষয়েই আজকের এ লেখার অবতারনা আর কি। এ আম কিন্তু সেই আম না। এটা নিয়ে আম জনতার যেমন চাহিদা নেই। তেমন মাতামাতিও নেই। নেই কোন হিংসা, প্রতি হিংসাও। সুতরাং, এটা নিয়ে তাদের মাঝে কোন কাড়াকাড়িও নেই। তবে, কাড়াকাড়ি কেবল যাদের আছে, শুধু তাদের মাঝেই। কারন-তারা অনেকটাই বুঝদার! তাই, তাদের মধ্যেই এ নিয়ে চর্চাও বেশি। প্রয়োগও বেশি। অতএব, প্রতিযোগিতাও বেশি। কারও সবগুলোই চাই, কারও একটু কম হলেও চাই আবার কারও ছোটগুলো হলেও চাই। অনেকের আবার আম না হোক আঁটি হলেও চাই, কারোর অন্তত: ছোলা বা খোসাটা হলেও চাই-ই চাই! এ চাই-এর চাই থেকেই চলছে প্রতিযোগিতা থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা। কেউ ডাল কেটে নিচ্ছে। আবার কেউ শাখাই কেটে নিচ্ছে। পাছে না আবার কেউ গোড়াসহ কেটে নিয়ে যায়! যদি না আবার কিছুই না পায়। অনেকটা এ ভয় থেকেই- কে কার আগে আম খাবে, এ নিয়ে চলছে-তুমুল লড়াই। যা কি না দখল,ক্ষমতা ও আধিপত্যের লড়াই থেকে শেষে কম-বেশি ভোগের লড়াইয়ে গিয়ে ঠেকেছে। বড় আফসোস আর অনুতাপের বিষয় এই যে, সবাই কেবল আম নিয়ে কাড়াকাড়িতেই ব্যস্ত। কিন্তু, আম গাছটার কথা একবারের জন্য হলেও ভুল করে কেউ ভাবছে না\ (লেখক: সংগঠক, মানবাধিকার ও গণমাধ্যম কর্মী এবং কলাম ও ফিচার লেখক)
কামরুল হাসান
০১৯১৪-৭৩৫৮৪২