
কামরুল হাসান:
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাধীন পাদতলা নিবাসী কালিয়া (কালুয়া) বাসফোরের ছেলে ফকির বাসফোর (৪৩)-এর বিরুদ্ধে সদর কোর্টে অর্থ হাওলাদ সংক্রান্ত চেক ডিজঅনার মামলা হয়। এ ঘটনায় এন আই এ্যাক্ট-এর ১৩৮ ধারা মতে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী প্রতারক ফকির বাসফোর বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে খুঁজছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাধীন পাদতলা নিবাসী কালিয়া বাসফোরের ছেলে ফকির বাসফোর (৪৩) বিগত ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারী একই জেলার সদর উপজেলাধীন দিগপাইত ইউনিয়নের দিগপাইত নিবাসী নারায়ন চন্দ্র বিশ^াসের ছেলে মুকুল চন্দ্র বিশ^াসের নিকট হতে ব্যবসার জন্য ৩ (তিন) লাখ টাকা হাওলাদ নেয়। সদর উপজেলাধীন দিগপাইত ইউনিয়নের দিগপাইত নিবাসী সন্তোষের ছেলে নয়নের মাধ্যমে উল্লেখিত অঙ্কের টাকা নেয়। অবশ্য সে সময় স¦াক্ষীদের মোকাবেলায় একশত পঞ্চাশ টাকা ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নাম দস্তখতও করে। কিন্তু সময় মত ওই টাকা ফেরত দিতে না পারায় ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর চেক প্রদান করে। যাতে সোনালী ব্যাংক লি:, মেডিকেল রোড, জামালপুর শাখার হিসাব নং ২৬১৪৬০১০০৩০০১ উপর ইস্যুকৃত গদ/১০ নং ১৬৮৩৮৭৬ পাতায় ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকাসহ ভিকটিমের নাম উল্লেখ আছে। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৪ নবেম্বর চেকটি ডিজঅনার হয়। ওই দিনই ফকির বাসফোরের সাথে যোগাযোগ করলে সে অর্থ গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করে। তাই ভিকটিম ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারী প্রতারক ফকির বাসফোরের নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করে। এতে সে কোন প্রকার সাড়া না দেয়ায় ১৯/০২/২০২৪ তারিখে সদর কোর্টে অর্থ হাওলাদ সংক্রান্ত চেক ডিজঅনার মামলা হয়। মামলা নং ২৩১ (১) ২০২৪। এ ঘটনায় এন আই এ্যাক্ট-এর ১৩৮ ধারা মতে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী প্রতারক ফকির বাসফোর বর্তমানে পলাতক রয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতারক ফকির বাসফোর বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন লোকের কাছ থেকে নানা কারনে লাখ লাখ টাকা নিয়ে ঘন ঘন ঠিকানা বদলায়ে আত্ম গোপনে থাকে। এমন কি সে তার এনআইডি কার্ড (১৯৭৯৩৯২১৬০৫৭৭৬৬৯৭)-এ দেয়া সঠিক ঠিকানা কৌশলে এডিট করে ইচ্ছেমত ভূয়া ঠিকানা বসিয়েছে। এমন অভিযোগও তুলেছেন মামলার বাদী। তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে খুঁজছে। লোকমুখে প্রচার আছে যে, মাঝে মধ্যেই তাকে জামালপুর শহরের গেইট পাড় এলাকার সুইপার কলোনীতে দেখা যায়।
কামরুল হাসান