নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৮ সালের ঐতিহাসিক কোঠা সংস্কার আন্দোলনের অগ্নি গর্ব হতে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ অধিকার পরিষদের হাত ধরে, আজ থেকে ৪ বছর আগে দেশের এক চরম ক্রান্তিকালে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য,মানবিক মর্যাদা,ন্যায়বিচার অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা কে প্রধান্য রেখে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের হাত ধরে তৈরি গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)।। তিনি দেশ ও জাতির চরম সংকটকালে দুঃশাসনের বাতাবরণের মধ্যে অসীম সাহসিকতার সাথে জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেও দুর্বার আন্দোলনে মাধ্যমে, ফেসিষ্ট সরকারের চোখে চোখ রেখে নেতৃত্ব দিয়েছেন।।। আমি সেই অদম্য সাহসের প্রতীকদের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
এবং এই শুভদিনে আমি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশের জনগণকে জানাচ্ছি অকৃত্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
গণঅধিকার পরিষদ জিওপির সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি জনগণ সার্বিকভাবে গ্রহণ করে। এই দলের ‘ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ভৌগলিক ভুখন্ডের ওপর ভিত্তি করে ‘বাংলাদেশী পরিচয়’ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে আলাদা ও নিজের কাছে অনন্য।’ তাই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় অঙ্গিকার বাস্তবায়নে গণঅধিকার পরিষদের সকল নেতাকর্মী নিরলস ও একনিষ্ঠ আপোষহীন লক্ষ্যে স্থির।
গণঅধিকার পরিষদের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মহান দিনে আমি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দলকে আরো সুসংহত ও গতিশীল করার জন্য মনেপ্রাণে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। দীর্ঘ দেড় দশক পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্র-জনতা নি:স্বার্থ আত্মদানের মধ্য দিয়ে গত বছর জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারি দানব আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা শুরু করে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে গণতন্ত্রকামী দলগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। এতোদিন গুম-খুনের আতঙ্ক মানুষের নিত্য সঙ্গী ছিল। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন সুদৃঢ় করতে পারলেই নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। দুঃশাসনে যে কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিলো সেটি সমূলে উপড়ে ফেলে একটি পরমতসহিষ্ণু, শান্তিময় এবং মানবিক সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই গণঅধিকার পরিষদে শক্তির মুল লক্ষ্য হতে হবে। খুনখারাবী ও সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতিকে উচ্ছেদ করে রাষ্ট্র ও সমাজে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য আমাদের আত্ম নিবেদন করতে হবে। গতবছর ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণআন্দোলনে স্বৈরাচারের পতনে যে সম্ভাবনার দিকগুলো দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়েছে তা ধাপে ধাপে সফল বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও ধারাকে এগিয়ে নিতে হবে। সুখ-দুঃখের সাথে সবসময় একাত্ম থাকে।
গণঅধিকার পরিষদ যদি ক্ষমতাশীন হয় তাহলে কৃষি, শিল্প বানিজ্যসহ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
গণঅধিকার পরিষদ বিশ্বাস বাংলাদেশ যে রাজনৈতিক পরিবারতন্ত্রের বেড়া জালে আটকে আছে তা থেকে মুক্ত করবে।। রাজার ছেলে রাজা,, মুন্ত্রীর ছেলে মুন্ত্রী কেন ?? একটা কৃষকের ছেলের যোগ্যতা থাকলে সেও হবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি।।।
২৪শের জুলাই-আগস্ট গন অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।। আপনাদের আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভুলবো না।। মহান আল্লাহ যেন আপনাদের জান্নাতের উচ্চমাকাম জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন আমিন।।।
মোহাম্মদ শাকিল মাহমুদ
সদস্য সচিব
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা