প্রদীপ চন্দ্র মম
বিধাতাকে প্রশ্ন করি—
তুমি কি কখনও আমার হবে না?
নীরব তিনি—
যেন আকাশের মতো বিস্তৃত— অথচ অনুচ্চারিত।
হয়তো কানে শোনেন না আমার আর্তি,
হয়তো দেখেন না আমার জ্বলন্ত অশ্রু,
তবু প্রতিটি বাতাসে তাঁর স্পর্শ—
অদৃশ্য অথচ অনিবার্য।
আমি দেখি তাঁকে নদীর জলে—
যেখানে অনন্ত ধারা বয়ে যায় নীরব স্রোতে,
দেখি সূর্যোদয়ের দীপ্তিতে,
যেখানে আলোক ছুঁয়ে দেয় মানুষের কষ্টের দেয়াল।
তিনি আছেন অনাহারীর হাতে এক মুঠো ভাত হয়ে,
অন্যায়ের মুখে ন্যায়ের বজ্রনিনাদ হয়ে,
ভাঙা হৃদয়ের মাঝে এক ফোঁটা দয়ার শিশির হয়ে।
বিধাতা শূন্য— তিনি সর্বত্র।
কুয়াশার মতো মিশে থাকেন পর্বতের বুকে,
বৃষ্টির ফোঁটায় জেগে থাকেন জীবনের গানে,
বালুচরের নীরবতায় ঘুমিয়ে থাকেন
অপেক্ষার মতো শান্ত।
আমি অনুভব করি—
ঈশ্বর মানে সেই নীল আকাশ,
যেখানে মানুষ ডুব দেয় একাকীত্বের আলোয়;
ঈশ্বর মানে সেই অরণ্যের পাতা,
যেখানে রোদ পড়ে নিঃশব্দ প্রার্থনা হয়ে;
ঈশ্বর মানে শূন্য—
যেখানে সব প্রশ্ন মিলিয়ে যায় নিঃশেষে,
আর থেকে যায় শুধু—
প্রকৃতির অনন্ত মর্মর ধ্বনি,
যার ভেতরই ঈশ্বর, আর আমি—
একই শ্বাসে, একই অনন্তে।
১৮/১০/২০২৫ খ্রিঃ।