প্রদীপ চন্দ্র মম
যেদিন বুঝেছি—আমি দেহ নই,
সেদিন নদীর জলে আমার ছায়া
আর আমাকে চিনল না;
হাওয়া এসে কানে বলল—
“তুই তো বাতাসেরও আগের কিছু।”
মাটির ঘ্রাণে বাজে লালনের সুর—
“মানুষ ভজলে মানুষ হবি,
আমি কে এই আমিতে আছি লুকায়া”—
আমি শুনি, অথচ শুনি না,
নিরবতার তলে নিজেকে খুঁজি।
চোখ মেলে দেখি—
আমার চার পাশে যত মৃত্যু,
সবই রূপ বদলায়, ধূসর বস্ত্র পরে;
জীবনের মতোই তারা ফিরে আসে
চাঁদের আলোয় ধোয়া নদীর ধারে।
আমার শরীর এখন শুধু ঠিকানা—
যেখানে আসে-যায় জীবন খেলা;
আমি স্থির, অনন্তের তীরে বসে আছি
নক্ষত্রের ছায়ায়,
প্রেম আর নীরবতার স্রোতে মিশে।
যেদিন আমি জেনেছি—
“আমি দেহ নই”,
সেদিনই ছুঁয়েছি সেই নীল নীরবতা,
যেখানে জীবনানন্দের রাত
আর লালনের গান—
এক হয়ে গেছে এক অমৃতের জলে।
১৩/১০/২০২৫ খ্রিঃ।