প্রদীপ চন্দ্র মম
গরিবের কুটিরে এখনো বাতাস
ভাগাভাগির সুর তোলে—
হাঁড়ির তলায় আঁচ লুকিয়ে
ভাতের সুবাস মুখে ভাসে।
ধনীর প্রাসাদে গেইটের ছায়া—
মানবতা মরে ঠাণ্ডা দেয়ালে;
ভিক্ষুক এলেও কণ্ঠ রুদ্ধ হয়,
খুচরো নেই— বলে অবহেলায়।
হায় রে মানবতা!
শস্য ভরে টনের পর টন,
সমুদ্র গিলে খায় খাদ্যের পাহাড়—
পাশেই ফিলিস্তিনি শিশুর কণ্ঠ
শুকিয়ে মরে ক্ষুধার আর্তনাদে।
এ কোন সভ্যতা?
ধর্ষক পায় ফুলের মালা,
রক্তমাখা হাতে বাজে উৎসবের ঢাক;
মৃত্যুকে সাজায় সোনার আলোয়—
মানবতার মুখে পড়ে কালো দাগ।
তবু মাঠের ধারে ঝিলের জলে
চাঁদের আলো কাঁপে নিঃসঙ্গ বেদনায়,
যেন বলে—
“শেষ মুঠো অন্ন ভাগ করে দেওয়া
এখনো মানুষের হৃদয়ে টিকে যায়।”
গরিবের ঘরে নীরব হাতে
অপরের ক্ষুধা মেটে প্রাণের টানে;
যেন নিভু আলোয় কাঁপা শিখা—
অস্তিত্বের শেষ কবিতা জ্বলে রাতের গানে।
২৪/০৯/২০২৫ খ্রিঃ।