নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরেই একই রকম চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে—ক্ষমতা দখল, বিরোধী দমন, আরেক দফা আন্দোলন, এরপর আবার ক্ষমতা পরিবর্তন। এই চক্র ভাঙার জন্য শুধু পুরনো রাজনৈতিক কৌশল বা দলীয় পালাবদল যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন নতুন ধারা, নতুন রক্ত। সেই নতুন শক্তি হলো তরুণরা।
আজকের তরুণ প্রজন্ম সংখ্যায় যেমন বিশাল, তেমনি সম্ভাবনায়ও অনন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলো, তাদের একাংশ রাজনীতিতে প্রবেশ করার আগেই হতাশ হয়ে পড়ে। কেউ মনে করে রাজনীতি মানেই দুর্নীতি, সহিংসতা আর ক্ষমতার লোভ। অন্যদিকে যারা সক্রিয় হয়, তাদের বড় অংশকেই দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়, ফলে প্রকৃত নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে না।
গুণগত পরিবর্তন আনতে হলে তরুণদের প্রয়োজন নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। এই ঐক্য শুধু কোনো দলের পতাকা তলায় দাঁড়ানো নয়, বরং একটি আদর্শিক ও মূল্যবোধভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। যেখানে থাকবে সততা, দেশপ্রেম, স্বচ্ছতা এবং সৃজনশীলতার সমন্বয়। তরুণরা যদি দলীয় বিভাজন ভুলে গিয়ে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্নয়নের যৌথ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে দেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।
তরুণদের ঐক্য মানে শুধু নির্বাচনে ভোট দেওয়া নয়; বরং নীতি নির্ধারণে সক্রিয় অংশগ্রহণ, স্বচ্ছ নেতৃত্ব বেছে নেওয়া এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কর্মক্ষেত্র থেকে গ্রামগঞ্জ—সবখানে তরুণরা যদি ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়, তবে অচিরেই রাজনীতির চেহারা বদলে যাবে।
আজকের তরুণরা যদি বিভক্ত থাকে, তবে রাজনীতির পুরনো শক্তিগুলোই তাদের ব্যবহার করবে এবং পরিবর্তনের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। কিন্তু তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে এই দেশ পাবে এমন এক নতুন নেতৃত্ব, যারা গুণগত পরিবর্তন এনে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।
–আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর