নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গন আজ এক গভীর সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে। নুরুল হক নুরের ওপর পরিকল্পিত হামলার ঘটনা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়; এটি গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার এবং ন্যায়বিচারের ওপরও এক নির্মম আঘাত। দেশের মানুষ আশা করেছিল, এই ঘটনার দ্রুত বিচার হবে, অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে এবং বিচার বিভাগ দৃঢ়তার সঙ্গে জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন করবে। কিন্তু সময় যতই গড়াচ্ছে, ততই দেখা যাচ্ছে এই মামলায় নানা গড়িমসি, কালক্ষেপণ এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা।
বিচার শুধু আদালতের রায়ে শেষ হয় না; বিচার মানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, অপরাধীর শাস্তি এবং ভুক্তভোগীর ন্যায়বোধের স্বীকৃতি। নুরের মামলায় যদি এই ন্যায় প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের মনে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছাবে—এদেশে বিচার নেই, বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়, বরং ক্ষমতাসীনদের হাতের খেলনা।
বাংলাদেশের ইতিহাস সাক্ষী, যখন বিচার বিভাগ জনগণের আস্থা হারায়, তখন রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ভেঙে পড়ে। বিচার না পেয়ে মানুষ যখন রাস্তায় নামে, তখন তা শুধু আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং অরাজকতা ও সহিংসতার জন্ম দেয়। জনগণের আস্থা হারানো মানেই রাষ্ট্রের ভীত নড়বড়ে হয়ে যাওয়া।
আজ বিচার বিভাগ একটি মোড়ের সামনে দাঁড়িয়ে। তারা যদি নিরপেক্ষভাবে নুরের ওপর হামলার বিচার সম্পন্ন করে, তবে জনগণ আবারও বিশ্বাস করবে যে দেশে এখনো ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আর যদি বিচার না হয়, তবে এই অবিশ্বাসের বীজ আগামীতে ভয়ংকর সঙ্কটে পরিণত হবে।
নুরের বিচার কেবল একজন রাজনীতিকের জন্য নয়; এটি পুরো জাতির জন্য একটি পরীক্ষা। বিচার বিভাগ কি সত্যিই জনগণের আদালত, নাকি ক্ষমতাসীনদের ঢাল—এই প্রশ্নের উত্তর এখানেই নিহিত। তাই আজ সবচেয়ে বড় দাবি হলো, দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে নুরের ওপর হামলার বিচার সম্পন্ন করা। ন্যায়বিচারই পারে রাষ্ট্রকে বাঁচাতে, জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর