নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি প্রবল সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠছে—অপরাধীদের বিচারহীনতা। যখন অপরাধীরা শাস্তি পায় না, বরং ক্ষমতার ছত্রছায়ায় রক্ষা পায়, তখন জনগণের ক্ষোভ জমে ওঠে। ইতিহাস প্রমাণ করে, জনগণ কখনো চিরকাল নীরব থাকে না। নীরব ক্ষোভ একসময় বিস্ফোরণে রূপ নেয়।
আজকের বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলের অপরাধীদের বিচার হয়নি, কিংবা তা রাজনৈতিক সমীকরণের আড়ালে চাপা দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে অপরাধ ঢাকার জন্য নানা কৌশল চালানো হয়—মিথ্যা তদন্ত, প্রহসনের মতো বিচার, কিংবা সময়ক্ষেপণ। কিন্তু জনগণের স্মৃতি এত দুর্বল নয়। তারা বোঝে কারা দায়ী, কারা দায়মুক্তি দিয়ে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছে।
এই ক্ষোভ যদি দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিত হতে থাকে, তবে তা কেবল বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেই নয়, পরবর্তী সরকারের বিরুদ্ধেও ঝড় হয়ে আসবে। কারণ জনগণ চায় পরিবর্তন, চায় সংস্কার, চায় ন্যায়বিচার। যদি নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে জনগণ তাদের প্রতিও আস্থা হারাবে। তখন আর কোনো স্লোগান, কোনো প্রতিশ্রুতি মানুষকে বিশ্বাস করাতে পারবে না।
সংস্কার ছাড়া ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বিচার ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিচার—এগুলোই হলো মূল শর্ত। কিন্তু যদি সংস্কারের উদ্যোগ না আসে, তবে নতুন সরকারও পুরোনো ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে। আর জনগণ তখন শুধু হতাশ হবে না, তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে।
অতএব, যে কোনো ভবিষ্যৎ সরকারকে বুঝতে হবে—শুধু ক্ষমতা দখল নয়, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অপরাধীদের বিচার করা এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। না হলে জনগণের এই ক্ষোভ একসময় ভয়াবহ আকারে বিস্ফোরিত হবে, আর সেই ক্ষোভ কারো প্রতি ছাড় দেবে না।
👉 শেষকথা: বিচারহীনতা শুধু অপরাধীদের নয়, বরং সরকারেরও পতনের কারণ হয়। তাই আজকের সরকার হোক বা আগামীর সরকার—ন্যায়বিচার ও সংস্কার ছাড়া টেকসই শাসন সম্ভব নয়।
--আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর