নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশে যখনই কোনো জনপ্রিয়, সাহসী এবং সত্যভাষী নেতৃত্ব উঠে আসে, তখনই তাকে স্তব্ধ করার জন্য পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি নুরুল হক নুরের উপর যে হামলা হয়েছে, তা নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়; বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত আক্রমণ, যার মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠস্বরকে রুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার নিয়ে যারা গরিমসি করছেন, তারা কি ভেবেছেন ইতিহাস এত সহজে ক্ষমা করে দেবে?
আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দোষীদের আড়াল করা, মামলার গতি ধীর করে দেওয়া কিংবা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কোনো নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু মনে রাখা দরকার, আজকের যে অপচেষ্টা, কালকের বাংলাদেশে তার হিসাব হবে। আগামী প্রজন্ম ভুলবে না কে অপরাধীর বিচার চেয়েও নীরব ছিল, কে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ায়নি।
বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ন্যায়ের প্রশ্নে আপস না করে দাঁড়াতে পারলে জাতি এগিয়ে যাবে; আর যদি অন্যায়ের প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেই অন্ধকারের দায় বর্তমান প্রজন্মের কাঁধে চাপিয়ে দেবে।
নুরুল হক নুরের উপর হামলা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির উপর আক্রমণ নয়—এটি আসলে জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বপ্নের উপর আঘাত। তাই বিচার নিয়ে গরিমসি করা মানে গোটা জাতির প্রতি অবমাননা করা।
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিশ্চয়ই তার জবাব দেবে। সেই জবাব আসবে ইতিহাসের আদালতে, আসবে জনগণের ভোটে, আসবে প্রজন্মের ঘৃণায়। অপরাধীরা হয়তো সাময়িকভাবে শক্তি দেখাতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চোখ ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই।
আজ যারা গরিমসি করছেন, কালকের বাংলাদেশ তাদের নাম চিহ্নিত করবে অন্যায়ের অংশীদার হিসেবে। তাই সময় থাকতে বিচার প্রক্রিয়াকে দ্রুত, স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান করতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশই হবে তাদের সবচেয়ে কঠিন বিচারক।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর