মাহবুবুর রহমান জিলানী, স্টাফ রিপোর্টার :
টঙ্গীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল অফিস নিয়ে ষড়যন্ত্র মূলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এরশাদ নগর বড় বাজারে স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস এ আয়োজন করা হয়।
জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের গাজীপুর মহানগর ৪৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০০৫ সালে টঙ্গীর তৎকালীন ১২নং ওয়ার্ডে (বর্তমান ৪৯নং) স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্যোগে প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের জায়গাজুড়ে সেচ্ছাসেবক দলের একটি কার্যালয় করা হয়। কার্যালয়টি ছিল স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রাণকেন্দ্র।
কিন্তু প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পরই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. রশিদ ডেকোরেটর কার্যালয়টি জোরপূর্বক দখল করে নেন। ২০১২ সালে তিনি স্থাপনাটি ভেঙে সেখানে একটি মার্কেট নির্মাণ করেন। রশিদ ডেকোরেটরের মৃত্যুর পর তার ছেলে ও ভাতিজারা মার্কেটের দখল বজায় রাখেন এবং বিএনপি ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি দেন এবং বিভিন্ন মামলায় আসামি করে যাতে কারো পক্ষে দখলকৃত জায়গা ফিরে পাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব না হয়।
আলাউদ্দিন আরও জানান, দীর্ঘদিন দখল বজায় থাকার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে সরকার পতনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে ন্যায়বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের কার্যালয় দখলমুক্ত করেন। তিনি বলেন, “এই কার্যালয় কেবল একটি অফিস নয়, এটি আমাদের ত্যাগ, সংগ্রাম ও আন্দোলনের ইতিহাসের প্রতীক। দখলমুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত হলেও যেসব ব্যক্তি অবৈধভাবে জায়গাটি দখল করে রেখেছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় এ ধরনের দখলদারিত্ব ভবিষ্যতেও পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী থানা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামু, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। তারা দখলমুক্ত কার্যালয়কে পুনর্গঠন করে নতুন করে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেন।
টঙ্গীর রাজনৈতিক অঙ্গনে সেচ্ছাসেবক দলের এই কার্যালয় পুনরুদ্ধার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আশা প্রকাশ করেছেন, কার্যালয়টি পুনরায় সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করবে।