মাহবুব জিলানী স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস পালন করা হয়েছে। আজ (৩ সেপ্টেম্বর) এ দিবসটি পালন করা হয়।
ওয়ান ইলেভেনের সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সে সময় তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ভোররাতে তারেক রহমানকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দিনের পর দিন রিমান্ডে নির্যাতন ও টানা ৫৫৪ দিন কারাবাসের পর সাজানো সবক’টি মামলায় আদালত থেকে জামিন পান তারেক রহমান।
২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মুক্তি পান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক রহমান। সেখানেই ১৭ বছর থেকে বিএনপির মতো বৃহত্তম দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
এরপর থেকে প্রতিবছর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো এ দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধা ও তাৎপর্যের সঙ্গে স্মরণ করে আসছে।
দেশনায়ক তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি ও গাজীপুর – ৬ আসনের মনোনয়ন পদপ্রত্যাশী আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন সরকার এক বার্তায় বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মুক্ত গণমাধ্যমের আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত তারেক রহমান। তিনি আজ নিপীড়িত মানুষের আশা ও প্রত্যাশার প্রতীক। দেশের কোটি কোটি মানুষ তাঁর নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছে।”
দিবস তিনি আরও বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে দীর্ঘ সময় কারাভোগ করেছেন। তাঁদের আদর্শের উত্তরাধিকার বহন করছেন তারেক রহমান। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তিনি-ই একমাত্র ভরসা।”
নেতাকর্মীরা মনে করছেন, কারামুক্তির এই দিনটি কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়; বরং এটি গণতন্ত্রকামী মানুষের সংগ্রামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই দিনটিকে স্মরণ করে তারেক রহমানের সুস্থতা ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।