নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে গণতন্ত্র সবসময়ই ছিল এক অমূল্য সম্পদ। অথচ সেই গণতন্ত্রকে বারবার আঘাত করা হয়েছে নানা অজুহাতে, নানা চক্রান্তে। সাম্প্রতিক সময়ে ভিপি নুরের উপর হামলা এবং সেই হামলাকারীদের নাম-পরিচয় গোপন রাখার অপচেষ্টা নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি। কারণ, যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মেরে চুপ করিয়ে দিতে চায়, তারা আসলে মুক্ত চিন্তার পথ বন্ধ করতে চায়।
নুরের উপর হামলা কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ নয়; এটি গণতন্ত্রে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত। আর যে রাষ্ট্র বা সরকার সেই হামলাকারীদের নাম প্রকাশ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়, তারা আসলে অপরাধীদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এটা জনগণকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে—রাজনীতিতে সৎ, সাহসী ও জনগণের পক্ষের কণ্ঠস্বর থাকলে তার নিরাপত্তা নেই।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। কিন্তু এখানে নাম-পরিচয় গোপন করে রাখা মানে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। এই নীরবতা গণতন্ত্রকে ধীরে ধীরে কবরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণের চোখে আস্থা ও বিশ্বাস হারাচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ যদি হামলাকারীদের নাম প্রকাশ না করা হয়, কাল তারা আরও সাহসী হবে। ভিন্নমতাবলম্বীদের উপর আরও বড় হামলা হবে। তখন কেউ আর রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করবে না। গণতন্ত্র তখন কেবল কাগজে লেখা কিছু শব্দে সীমাবদ্ধ থাকবে।
গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে হবে, বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং জনগণের সামনে সত্য প্রকাশ করতে হবে। নীরবতা কোনো সমাধান নয়, বরং তা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়।
👉 জনগণকে এ সত্য বুঝতে হবে—গণতন্ত্র রক্ষা মানে শুধু ভোট দেওয়া নয়, বরং সত্য প্রকাশের দাবি তোলা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। আজ নুরের উপর হামলার বিচার না হলে আগামী দিনে হয়তো আমাদের সবার কণ্ঠস্বরই বন্ধ হয়ে যাবে।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর