মাহবুব জিলানী টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
গাজীপুরের টঙ্গীতে অপহরণের তথ্য সংগ্রহকালে স্থানীয় সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের নেতা রেদোয়ান আহমাদ আদন ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান জিলানী টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় সুন্দর বন কোরিয়ার সার্ভিস ভবনের দ্বিতীয় তলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক একটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে টাকা চুরির অভিযোগে রেদোয়ান আহমাদ আদনসহ কয়েকজন তাকে টানা তিন দিন তাদের বাসার পঞ্চম তলায় আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। বিষয়টি জানার জন্য ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা আলোচনা করছিলেন। এসময় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান জিলানী ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহরণের তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ধারণ শুরু করেন।
একপর্যায়ে অভিযুক্তরা সাংবাদিক জিলানীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। রেদোয়ান আহমাদ আদন ও তার সহযোগীরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে মারধরের চেষ্টা করেন এবং তার মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে রেকর্ডকৃত ভিডিও ও তথ্য মুছে ফেলেন। পরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখলেও গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরনের ফোন কল পাওয়ার পর মুক্তি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান জিলানী থানায় দায়ের করা জিডিতে তিনজনের নাম উল্লেখ করেন। তারা হলেন— ১। রেদোয়ান আহমাদ আদন (২৫), পিতা-তানভীন হাসান আরমান ২। আজাহার (৫০),পিতা-অজ্ঞাত ৩। ইউসুফ শরীফ (৪০) এছাড়া অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত রেদোয়ান আহমদ আদন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রোহানুজ্জামান শুক্কুর বলেন, “বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের।”
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি তদন্ত আতিকুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”