নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে যে নৃশংসতা এবং সহিংসতার দৃশ্য আমরা দেখছি, তা নিছক কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ নয়—এটি পরিকল্পিত একটি রাজনৈতিক প্রকল্প। ভিপি নুরের ওপর একের পর এক হামলা, তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা, এসবের পেছনে প্রশ্ন জাগে: আসলে কাদের জন্য জায়গা খালি করা হচ্ছে?
নুর আজ কেবল একজন ব্যক্তির নাম নয়, তিনি হাজারো বঞ্চিত তরুণের কণ্ঠস্বর। দুর্নীতি, লুটপাট, স্বৈরাচার আর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে যিনি সোচ্চার হয়েছেন, তাঁকে সরিয়ে দিলে স্বস্তি কারা পাবে? নিশ্চিতভাবেই, তারা হলো সেই শক্তি—যারা দেশকে দখলদারিত্বের মাধ্যমে চালাতে চায়, যাদের রাজনীতি জনগণের নয়, কেবল ক্ষমতা আর সুবিধার।
নুরকে হুমকি দেওয়া মানে তরুণ প্রজন্মকে বার্তা দেওয়া—“তোমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করা হবে।” এই ভয় দেখিয়ে তারা চায় মাঠ খালি করতে, যাতে পুরনো স্বার্থান্বেষী মহল আবার অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, যারা নুরকে মেরে ফেলার দালালী করছে, তারা মূলত দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, ক্ষমতালোভী আমলা, আর বিদেশি স্বার্থের দোসরদের জন্য পথ মসৃণ করছে।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, জনগণের নেতা কখনো হত্যা করে শেষ করা যায় না। বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে অসংখ্য নেতার রক্তে এই মাটিই প্রমাণ রেখেছে—রক্ত ঝরলেও আন্দোলনের স্রোত থেমে থাকে না।
আজ প্রয়োজন জনতার ঐক্যবদ্ধ অবস্থান। আমাদের প্রশ্ন তুলতেই হবে—যারা তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠস্বরকে হত্যা করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য কী? তাদের আশ্রয়দাতা কারা? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—জনগণ কি এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে?
কারণ, নুরকে সরানো মানে একটি প্রজন্মের স্বপ্নকে হত্যা করা। আর স্বপ্নকে কোনো দালালী দিয়ে জায়গা করে দেওয়া যায় না—বরং তা আগুন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
–আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর