নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক ভূখণ্ড হলেও তার আসল শক্তি লুকিয়ে আছে মানুষের মাঝে। এই দেশের ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, ভিন্ন মত, ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ এক হয়ে দাঁড়ালেই বড় অর্জন সম্ভব হয়। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ—প্রতিটি সংগ্রামে সম্প্রীতি ছিল আমাদের প্রধান হাতিয়ার।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভাজনের রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতার আগ্রাসন এবং সামাজিক অস্থিরতা আমাদের সেই সম্প্রীতির সংস্কৃতিকে ক্ষয় করছে। কে কোন ধর্মের, কে কোন মতের—এমন সংকীর্ণ পরিচয়ের কাছে হার মানছে বাঙালির ঐক্যের চেতনা। অথচ স্বাধীনতার পর দেশ গড়ার যে অঙ্গীকার জাতি করেছিল, তার মূল ভিত্তিই ছিল সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিক সম্প্রীতি।
সম্প্রীতি মানে শুধু ধর্মীয় উৎসবে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো নয়; বরং এর প্রকৃত অর্থ হলো অন্যের কষ্টকে নিজের কষ্ট হিসেবে উপলব্ধি করা এবং সহমর্মিতার হাত বাড়ানো। সমাজে কেউ অসহায় থাকলে, কেউ বৈষম্যের শিকার হলে কিংবা অন্যায়-অবিচারের শিকার হলে তার পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত সম্প্রীতির প্রকাশ।
আমরা ভুলে গেলে চলবে না, ঘৃণা কখনো সমাজকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। হিংসা-বিদ্বেষ একটি জাতিকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে এখনই প্রয়োজন সম্প্রীতির নতুন সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, আসুন আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই—
আমরা বিভাজনের রাজনীতি নয়, ঐক্যের রাজনীতি চাই।
আমরা সাম্প্রদায়িক হিংসা নয়, মানবিক সহমর্মিতা চাই।
আমরা কেবল নিজের জন্য নয়, সবার জন্য বাংলাদেশ গড়তে চাই।
কারণ বাংলাদেশ কোনো একক সম্প্রদায় বা মতাদর্শের নয়; এটি সবার। আর সেই সবার বাংলাদেশই হবে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর