নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই বিপ্লব ছিল এ দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, বঞ্চনা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন। সে আন্দোলনের পেছনে কোনো একক ব্যক্তি বা দলের দৌরাত্ম্য ছিল না; ছিল সাধারণ মানুষের বুকের ভেতর জমে থাকা সত্য ও ন্যায়ের দাবি। যারা সেই আন্দোলনে জীবন দিলেন, কারাবরণ করলেন কিংবা ঘরে-সংসারে সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করলেন—তারাই প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা।
কিন্তু আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাজনীতির বাজারে ফায়টা লোটার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। যারা বিপ্লবের দিন জনগণের পাশে ছিল না, তারাই আজ জুলাইয়ের নাম ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এই প্রবণতা কেবল ন্যায়ের প্রতি অবজ্ঞা নয়, ইতিহাসের প্রতি অবমাননাও বটে।
জুলাই যোদ্ধাদের অস্বীকার করা মানে হলো জনগণের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করা। আর এই অস্বীকারের পেছনে লুকিয়ে আছে কৌশল—রাজনীতিকে ভাগ-বাটোয়ারার খেলা বানানো, আন্দোলনের ফসলকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা। এটি নতুন নয়, এ দেশের রাজনীতিতে প্রায়শই দেখা গেছে আন্দোলনের রক্তভেজা ফসলকে কিছু গোষ্ঠী নিজেদের নামে লিপিবদ্ধ করতে চায়।
কিন্তু ইতিহাস কখনো থেমে থাকে না। জুলাই বিপ্লবের শক্তি এসেছে মাটি ও মানুষের ভেতর থেকে, কোনো রাজনৈতিক চালবাজি থেকে নয়। তাই আজ যারা জুলাই যোদ্ধাদের অস্বীকার করতে চায়, তারা আসলে নিজেদের দুর্বলতাকে আড়াল করতে চায়। জনগণ জানে, কারা তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছে, আর কারা দূরে বসে সুযোগের অপেক্ষা করেছে।
অতএব, রাজনৈতিক অপকৌশলের নামে জুলাই যোদ্ধাদের অবদান খাটো করার যে প্রয়াস চলছে, তা একদিন ধসে পড়বেই। সত্য ইতিহাস অস্বীকার করে টিকে থাকা যায় না। জুলাই যোদ্ধারা চিরকাল এই দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মেরুদণ্ড হয়ে থাকবেন, আর যারা ফায়টা লোটার রাজনীতি করছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর