নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ। অথচ আমরা বারবার এমন সব ঘটনার মুখোমুখি হই, যা এই গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতি আস্থা ধ্বংস করে দেয়। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনারের সামনেই যে ঘটনা ঘটেছে, তা কেবল লজ্জাজনক নয়, গণতান্ত্রিক কাঠামো ও ভবিষ্যতের নির্বাচনের জন্য ভয়ঙ্কর সংকেত। প্রশ্ন উঠছে—যারা নিজেদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা রক্ষা করতে অক্ষম, তারা পুরো জাতির জন্য কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে?
বাংলাদেশের আইনের বাস্তবতা হলো—অপরাধীদের রক্ষাকবচ তৈরি হয়ে গেছে আইন নিজেই। বিচারহীনতা, রাজনৈতিক প্রভাব ও শক্তিশালী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্যে আইন হয়ে উঠেছে দুর্বল মানুষের শত্রু এবং ক্ষমতাশালীদের বন্ধু। এমন পরিস্থিতিতে যদি আইন সংস্কার না হয়, তবে যে কোনো নির্বাচনই হয়ে দাঁড়াবে অপরাধীদের উৎসব, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নয়।
আইনের সংস্কার ছাড়া নির্বাচন আয়োজন করা মানে আগের ভুলকেই বৈধতা দেওয়া। যে নির্বাচন কমিশনের সামনে এমন অরাজকতা ঘটে, তারা নির্বাচনের সময় গ্রাম থেকে রাজধানী পর্যন্ত যে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে, তা সামাল দেওয়া আদৌ সম্ভব কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
এখন সময় এসেছে জনগণকে সৎভাবে স্বীকার করার—গণতান্ত্রিক চর্চা কেবল নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে সীমাবদ্ধ নয়, বরং একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ আইনব্যবস্থার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। আইন যদি অপরাধীদের রক্ষা করে, তবে সৎ প্রার্থী, সাধারণ ভোটার কিংবা গণতন্ত্র কেউই নিরাপদ থাকবে না।
সুতরাং আমাদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত—আইনের মৌলিক পরিবর্তন, অপরাধীদের জন্য শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ক্ষমতা প্রদান। নইলে যেকোনো নির্বাচনই জনগণের আশা নয়, বরং হতাশার আরেকটি কবরফলক হয়ে দাঁড়াবে।
-আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর