নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশপ্রেম এক অদৃশ্য শক্তি। যিনি সত্যিকার অর্থে দেশের মাটিকে ভালোবাসেন, তাঁর ভেতরে জন্ম নেয় এক ধরনের নির্মল স্বচ্ছতা। রাজনীতি তখন আর ক্ষমতার দৌড়ঝাঁপ কিংবা ব্যক্তিগত আখের গোছানোর মাধ্যম থাকে না, বরং তা হয়ে ওঠে জনগণের সেবা করার এক মহৎ অঙ্গীকার।
কিন্তু আজকের বাস্তবতায় আমরা দেখি—অনেকে রাজনীতিকে ব্যবহার করছেন ধন-সম্পদ গড়ার হাতিয়ার হিসেবে। ইউরোপ, আমেরিকা বা কানাডায় বাড়ি করে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভরে, বিদেশে পরিবারকে নিরাপদে রেখে নিজের দেশের মানুষের ভাগ্যের সঙ্গে খেলছেন। অথচ রাজনীতির মূল দর্শনই ছিলো জনগণের কল্যাণ, দেশের অগ্রগতি আর আগামী প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায্য রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা।
যদি সত্যিই কেউ দেশের মাটিকে ভালোবাসেন, তাহলে তিনি নিজের স্বপ্ন, পরিকল্পনা ও শ্রম এই মাটিতেই নিবেদন করবেন। বিদেশে সম্পদ সঞ্চয় করা নয়, বরং দেশের সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হবে তাঁর দায়িত্ব। এই মানসিকতা রাজনীতিতে আনে এক ধরনের নির্ভীকতা ও সৎ সাহস। কারণ তখন নেতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা সম্পদ বিদেশে থাকে না, তাঁর সবকিছু থাকে জনগণের সঙ্গে, দেশের মাটির সঙ্গেই গাঁথা।
রাজনীতি কেবল বক্তৃতার বিষয় নয়, এটি নৈতিকতারও পরীক্ষা। মানুষ যখন দেখতে পায় তাঁদের নেতা দেশের ভেতরেই আছেন, দেশের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করছেন, তখন বিশ্বাস জন্মায়। আর বিশ্বাসই রাজনীতির সবচেয়ে বড় শক্তি।
তাই প্রয়োজন—দেশকে ভালোবাসা, দেশের মাটিকে আঁকড়ে ধরা এবং বিদেশমুখী লোভকে অস্বীকার করা। রাজনীতি যদি সত্যিই দেশের মানুষের কল্যাণে হয়, তাহলে নেতৃত্বে আসবে এক ধরনের স্বচ্ছতা, এক ধরনের সততা, যা কোনো বিদেশি মুদ্রা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়।
দেশের মাটিকেই ভালোবাসুন। দেখবেন, আপনার ভেতর থেকে শুরু হবে শুদ্ধতার রাজনীতি।
--আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর