নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪-এর বিপ্লব ছিল আমাদের প্রজন্মের সাহস, ত্যাগ আর স্বপ্নের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। রক্ত, ঘাম, অশ্রু মিশে গিয়েছিল সেই সময়ের প্রতিটি দিন-রাতে। সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে নেমেছিল রাস্তায়—ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পাওয়ার আশায়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, এত ত্যাগের পরও কেন বিপ্লব তার কাঙ্ক্ষিত পূর্ণতা পেল না?
এর জন্য দায়ী তারা—যারা আন্দোলনের মাঝপথে সুযোগসন্ধানী চুক্তি করেছিল, যারা ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের রঙ বদলে দিয়েছিল, যারা গোপনে স্বার্থের বোর্ডে বসে জনতার ইচ্ছা বিক্রি করে দিয়েছিল। তারা হয়তো মুহূর্তের সুবিধা পেয়েছে, হয়তো পদমর্যাদা, অর্থ কিংবা বিদেশি মদদ কুড়িয়েছে—কিন্তু তারা যে বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস লিখেছে, তা প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্মরণে রাখবে।
ইতিহাস কখনও ব্যক্তিগত সুবিধা, কৌশলী মিথ্যা বা ধূর্ত রাজনৈতিক চালকে ক্ষমা করে না। ইতিহাস শুধু তাদের নাম উজ্জ্বল করে রাখে, যারা প্রতিকূলতার মুখেও নীতির সাথে আপস করেনি। ২৪-এর বিপ্লবের অসম্পূর্ণতা আজ আমাদের জন্য শিক্ষা—যদি সততার পতাকা হাতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করা না যায়, তবে জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও তা হাতছাড়া হয়ে যায়।
প্রশ্নটা তাই আজও প্রাসঙ্গিক—যারা স্বার্থপরতা, ভীরুতা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিপ্লবের অঙ্গীকার ভেঙে দিয়েছে, ইতিহাস কি তাদের ক্ষমা করবে? উত্তর হয়তো সময় দেবে, কিন্তু জনতার স্মৃতি বড়ই কঠিন; বিশ্বাসঘাতকদের নাম চিরকাল কলঙ্কের পাতায় লেখা থাকবে।
আল আমিন মিলু
আহ্বায়ক
গনঅধিকার পরিষদ
সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা
জামালপুর